কোয়ালিফায়ারেই প্রমাণ হয়েছে আমরা কি করতে পারি : আন্দ্রে রাসেল
একদিকে মুশফিকুর রহীম, রাইলি রুশোর মত দু দুজন পাকা উইলোবাজ। অনুকূল-প্রতিকুল দুই অবস্থাতেই যাদের ব্যাট সমান সাবলীল। সেই সাথে দুই তরুণ- মেহেদি হাসান মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্তর ওপেনিং জুটি। তার সঙ্গে মোহাম্মদ আমির, রবি ফ্রাইলিংক আর শফিউল ইসলামদের নিয়ে গড়া ধারালো পেস আক্রমণের খুলনা টাইগার্স।
অন্যদিকে লিটন দাস-আফিফ হোসেন ধ্রুব‘র চমৎকার উদ্বোধনী জুটি, শোয়েব মালিকের চওড়া ব্যাট, অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেলের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স এবং মোহাম্মদ ইরফানের বাড়তি উচ্চতার আনপ্রেডিক্টেবল ডেলিভারির মিশেলে সাজানো রাজশাহী রয়্যালস।
আগামীকাল শুক্রবারের বিপিএল ফাইনালে কাকে এগিয়ে রাখবেন? কোন দল ফেবারিট? জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। আত্মবিশ্বাস আর সামর্থ্যের প্রতি যার অবিচল আস্থা, সেই অসীম সাহসী ও অতি কার্যকর অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলও ফাইনালের ২৪ ঘন্টা আগে এ প্রশ্নর মুখোমুখি হয়ে খানিক দ্বিধান্বিত।
রাজশাহী রয়্যালসের এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্যাপ্টেন সরাসরি বলেননি, আমরা বা খুলনা ফেবারিট। তবে আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তারা কাপ জিততে চান। কাপ জয়ে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। নিজ দলের শক্তি ও সামর্থ্যের প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে তার।
তাই ফেবারিট কে? এমন প্রশ্নে আন্দ্রে রাসেলের কৌশলী জবাব, ‘ফাইনালে যখন এসেছি, তখন জয়ের চিন্তা ছাড়া আর অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই। আমরা জয় ছাড়া আর কিছু ভাবছিও না।’
কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারানোর ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে আন্দ্রে রাসেল বুঝিয়ে দেন, তার দল আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান। সবাই টগবগ করে ফুটছে। তাই মুখে এমন কথা, ‘আমরা গতরাতে যেভাবে একটা দল হয়ে খেলতে পেরেছি এবং আমার বিশ্বাস আমরা প্রমাণ দিয়েছি, আসলে আমরা কি করতে পারি। আমার বিশ্বাস আমরা ফাইনালেও তেমন ভালো খেলব।’
আগে ফাইনাল খেলেছেন কয়েকবার। গতবার ঢাকা ডায়নামাইটসের পক্ষে ফাইনাল খেলেছেন। তবে অধিনায়ক হিসেবে এবারই প্রথম। এটা কি একটু বাড়তি চাপ? এমন প্রশ্ন উঠতেই আন্দ্রে রাসেলের সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ, ‘না। না। আমি চাপ সহ্য করতেই অভ্যস্ত। হোক ব্যাটিং কিংবা বোলিং, আমি চাপের মুখে করে অভ্যস্ত। এটা (নেতৃত্ব) শুধু সেই চাপের মধ্যে যোগ হয়েছে এই যা। আমি এ থেকে শিখছিও। প্রতিনিয়ত প্রতি ম্যাচে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছি নেতৃত্ব দিতে।’
প্রতিপক্ষ খুলনার ব্যাটিং প্রচন্ড শক্তিশালী। এখন পর্যন্ত এবারের বিপিএলের রান সংগ্রহে যে দুজন সবার ওপরে, সেই মুশফিকুর রহীম (১৩ ম্যাচে ৪৭০ রান) আর রাইলি রুশো (১৩ ম্যাচে ৪৫৮ রান) খুলনা টাইগার্সে। এছাড়া দুই তরুণ মিরাজ ও শান্তও রানে আছেন। সেই সাথে তিন পেসার রবি ফ্রাইলিংক, মোহাম্মদ আমির আর শহিদুল ইসলামও উইকেট শিকারে প্রথম ছয়জনের মধ্যে আছেন।
খুব স্বাভাবিকভাবেই তাদের মোকাবিলার জন্য আলাদা গেম প্ল্যানই থাকার কথা রাজশাহীর। তবে দলটির অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল প্রতিপক্ষ দলের কাউকে আলাদা করে টার্গেট করতে রাজি নন।
রাসেল বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট কোন ক্রিকেটারের কথা ভাবছি না। সব সময় উইকেট নেয়ার চেষ্টাই থাকবে। কাল কার দিন এসে যাবে, আমরা তো কেউই জানি না। আর আমরা সেটা থামাতেও পারব না। তাদের দলে বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনার আছে। তাই আমরা পুরো দল নিয়েই পরিকল্পনা করব। আমাদের আসলে নিশ্চিত করতে হবে মাঠে যেন ঠিকঠাকভাবে পরিকল্পনাটা কাজে লাগানো যায়।’
এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ