লুইসের সেঞ্চুরিতে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সিরিজের প্রথম ম্যাচে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির খুব কাছে। কিন্তু বেশি না হওয়ায় ৯৯ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার এভিন লুইসকে।
সেদিন না পারলেও, শেষ ম্যাচে ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লুইস। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিয়েছে আইরিশদের। তিন ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানেই জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গ্রেনাডায় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৪৯.১ ওভারে ২০৩ রানে অলআউট হয়েছিল আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দেয়া হয় ৪৭ ওভারে ১৯৭ রান। লুইসের ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩৬.২ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গিয়েছে স্বাগতিকরা।
রান তাড়া করতে নেমে লুইস ব্যতীত টপঅর্ডারের বাকি দুই ব্যাটসম্যান তেমন কিছু করতে পারেননি। ওপেনার শাই হোপ ও তিনে নামা সুনিল অ্যামব্রিস- দুজনই আউট হন ৬ রান করে।
তৃতীয় উইকেটে ব্রেন্ডন কিংকে সঙ্গে নিয়ে ৭৫ রানের জুটি গড়েন এভিন লুইস। ব্রেন্ডন আউট হন ৩৮ রান করে। দলের জয়ের জন্য যখন মাত্র ৫ রান বাকি তখন আউট হন লুইস। এর আগেই অবশ্য তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তার ব্যাট থেকে আসে ৬ চাও ৫ ছয়ের মারে ৯৭ বলে ১০২ রানের ইনিংস।
লুইস আউট হয়ে গেলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন নিকলাস পুরান। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৪ বলে ৪৩ রান নিয়ে।
এর আগে হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রের ঘূর্ণিতে আটকা পড়ে মাত্র ২০৩ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। লেগস্পিনের জাদুতে একাই ৪ উইকেট নেন হেইডেন ওয়ালশ। এছাড়া ওশানে থমাস ৩, রস্টোন চেজ ২ ও রোমারিও শেফার্ড নেন ১টি উইকেট।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবার্নি। এছাড়া অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ২৫, কেভিন ও'ব্রায়েন ২১ ও জেমস ম্যাককলম করেছেন ২০ রান।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে এবার টি-টোয়েন্টিতে লড়বে দুই দল। আগামী ১৫ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরে বাকি দুই ম্যাচ হবে ১৯ ও ২০ তারিখ।
এসএএস/পিআর