অকথ্য গালি দিয়েও অল্পে বেঁচে গেলেন বাটলার
সদ্যসমাপ্ত কেপটাউন টেস্টে বড়সড় কাণ্ড ঘটিয়েও অল্পেই বেঁচে গেলেন ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলার। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ভারনন ফিল্যান্ডারকে অকথ্য ভাষায় গালি দিলেও, ম্যাচ ফি’র মাত্র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে বাটলারকে।
টেস্টের পঞ্চম দিনের শেষ সেশনে তখনও জয়ের জন্য ৩টি উইকেট নিতে হতো ইংল্যান্ডকে। দিনের খেলার বাকি ছিলো আরও ২০ ওভার। স্ট্রাইকে ছিলেন ফিল্যান্ডার। ডিফেন্সিভ শটে মিডঅফে আলতো করে ঠেলে দেন তিনি। সেখানের ফিল্ডার থ্রো করে সরাসরি বল পাঠান বাটলারের হাতে।
কিন্তু সেই বলটি গ্লাভসে আসার আগে ফিল্যান্ডারের জন্য দেখতে খানিক সমস্যা হয়েছিল বাটলারের। যা কি না বড় কোনো ঘটনা ছিলো না। কিন্তু ফিল্যান্ডার টানা ডট বল খেলায় রাগে গজরাতে থাকা বাটলার শুরু করেন অকথ্য ভাষায় একের পর এক লেখার অযোগ্য গালি। সেই গালি শুনেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি ফিল্যান্ডার।
তবে টিভিতে স্পষ্ট শোনা গিয়েছিল কী বলছেন বাটলার। যা মুহূর্তের মধ্যে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি করে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন স্কাই স্পোর্টসের উপস্থাপক নিক নাইট। মূলত টিভি চ্যানেলে অকথ্য ভাষার গালিগালাজ সম্প্রচারিত হওয়ায় এই দুঃখপ্রকাশ করা হয়।
টিভি সম্প্রচারকারীরা দুঃখপ্রকাশ করা হলেও, বাটলার বা তার দলের কেউ অনুতাপ প্রকাশ করেনি। পরে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট বাটলারকে ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা ও ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে। এ শাস্তি মেনে নিয়েছেন বাটলার। এর বেশি কোনো শাস্তি দেয়ার উপায়ও ছিলো না ম্যাচ রেফারির হাতে।
কেননা বাটলারের অপরাধ ছিলো শুধুমাত্র ২.৩ অনুচ্ছেদের, যা কি না ২.১৩ এর অনুচ্ছেদের চেয়ে ব্যতিক্রম। ২.১৩তে কোনো খেলোয়াড়কে ব্যক্তিগত আক্রমণের জন্য বড় শাস্তির কথাই বলা আছে। তবে ২.৩ এ বলা আছে খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলার কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের কথা। তবে এই শাস্তির মাত্রা আরও অনেক বাড়তে পারতো, যদি আম্পায়াররা মনে করতেন এটি ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে ছিলো।
ম্যাচের পর ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট বিষয়টিকে গুরুতর কিছু হিসেবে মানতে আপত্তি করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না এটা গুরুতর কিছু ছিলো। বিষয়টা ছিলো যে, দুইজন ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলছিল। আবেগ তখন অনেক বেশি। তবে আমি মনে করি না কেউ মাত্রা অতিক্রম করেছিল। খেলার মাঝে খানিক মাসালাও দরকার আছে, তাই না?’
এসএএস/এমএস