ইংরেজি বোঝেন না ক্রিকেটাররা : কোচ গিবসকে ধুয়ে দিলেন নাইম
বিপিএলে সিলেট থান্ডারের সব আশা শেষ। সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছে দলটি। এখনও হেরেই চলেছে। সর্বশেষ শনিবার রংপুর রেঞ্জার্সের কাছে হেরেছে ৩৮ রানে। এটি দশম ম্যাচে নবম পরাজয় সিলেটের।
দলের যখন এমন অবস্থা, স্বভাবতই ব্যর্থতার দায় নিতে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ হার্শেল গিবসকে। খেলোয়াড় হিসেবে তিনি বেশ বড়মাপের ছিলেন, কিন্তু কোচ হিসেবে বিপিএলে চরম ব্যর্থ।
তবে এমন ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে যেন নিতে নারাজ গিবস। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরই গণমাধ্যমের সামনে বোমা ফাটান, দলের ক্রিকেটাররা নাকি তার ইংরেজি বোঝেন না। যদি কোচের কথা না-ই বোঝেন, তবে মাঠে কৌশল কিভাবে কাজ করবে?
গিবসের এমন কথার পর শুধু সিলেট থান্ডার নয়, নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে অন্য একটা কারণে। আসলে কথাটা তো পড়েছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ওপর, এই লেভেলের ক্রিকেটে এসে তারা ইংরেজি বোঝেন না-শুনতেও কেমন লাগে!
এবার গিবসের কথার সরাসরিই প্রতিবাদ করলেন সিলেটের অফস্পিনার নাইম হাসান। বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা ১৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার যে যুক্তি দিয়েছেন, সেটিও একেবারে ফেলে দেয়ার মতো নয়।
বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো একজন দক্ষিণ আফ্রিকান। গত সেপ্টেম্বর থেকে তিনি দলের সঙ্গে। ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জিও দক্ষিণ আফ্রিকান, তিনি তো টাইগারদের সঙ্গে আছেন দুই বছর ধরে। সদ্য বিদায়ী বোলিং কোচ চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্টও ছিলেন একই দেশের।
নাইমের যুক্তি, ক্রিকেটাররা যদি ইংরেজি না-ই বোঝেন, তারা কাজ করছেন কিভাবে? গিবসের নামটি সরাসরি না তুললেও সিলেটের স্পিনার প্রকারান্তরে কোচকে একহাতই নিয়েছেন। নাইম বলেন, ‘জাতীয় দলে কোচ আছে, তারাও ইংরেজিতে কথা বলে। এখন বাকিটা বুঝে নেন।’
নাইম মনে করেন, ভাষাগত দূরত্ব আসল বিষয় নয়, দল হিসেবে ভালো খেলতে পারেনি বলেই এমন ব্যর্থতা সিলেটের। দলের খেলোয়াড় হিসেবে দায়টা নিজেদের কাঁধেই নিচ্ছেন তিনি, ‘মাঠে আমরা খেলছি, আমাদেরই দোষ। সবাই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করে। কখনো সফল হয়, কখনো হয় না।’
এমএমআর/এমকেএইচ