প্যাভিলিয়ন থেকে ফেরানো হলো ভানুকাকে, আউট না হয়েও সাজঘরে রাব্বি
আম্পায়াররা তখনও টিভি রিপ্লেতে দেখছিলেন, ওয়াহাব রিয়াজের সামনের পা পপিং ক্রিজের দাগ অতিক্রম করেছে কি না। কিন্তু তর সইছিলো না ভানুকা রাজাপাকশের। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের আগেই মাঠ ছেড়ে সোজা প্যাভিলিয়নে চলে গিয়েছিলেন। ওদিকে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ইয়াসির আলি রাব্বিও চলে আসেন উইকেটে।
কিন্তু টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গেলো, বল ছাড়ার সময় ওয়াহাবের বুটের কোনো অংশই পপিং ক্রিজের ভেতরে ছিলো না। যার ফলে সেটি অবৈধ ডেলিভারি অর্থাৎ নো বল। আম্পায়াররা নিজেদের মধ্যে এটি নিয়েই আলোচনা করছিলেন। কিন্তু পুরনো ব্যাটসম্যান চলে গিয়েছিলেন মাঠ ছেড়ে প্যাভিলিয়নে আর নতুন ব্যাটসম্যান ততক্ষণে উইকেটে।
তবে এতে সমস্যা হয়নি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। কেননা থার্ড আম্পায়ার বলটিকে অবৈধ ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে আনা হয় ভানুকাকে। এতে ঢাকা প্লাটুনের খেলোয়াড়রা খানিক আপত্তি করেছে ঠিক। তবে নিয়মের মধ্যে থাকায় আউট হওয়ার বদলে ফ্রি হিট যায় কুমিল্লা।
ঘটনা ঢাকা ও কুমিল্লার মধ্যকার ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পঞ্চম বলে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লা এরই মধ্যে হারিয়ে ফেলেছিল দুই উইকেট। ওয়াহাব রিয়াজের করা সে বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে হাসান মাহমুদের হাতে ধরা পড়েন কুমিল্লার লঙ্কান ওপেনার ভানুকা রাজাপাকশে।
মাঠের আম্পায়ার প্রগিথ রামবুকেলার মনে সন্দেহ ছিলো, আদৌ সেটি বৈধ ডেলিভারি কি না। যার ফলে তিনি সাহায্য নেন থার্ড আম্পায়ারের। কিন্তু ততক্ষণে ভানুকা হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে যান মাঠের বাইরে। ইয়াসির আলি রাব্বিও চলে আসেন মাঠের ভেতরে।
পরে থার্ড আম্পায়ার ‘নো’ বলের ঘোষণা দিলে ফিরিয়ে আনা হয় ভানুকাকে। তখন উইকেটে একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তিন ব্যাটসম্যান। তবে যেহেতু ভানুকা আউট হননি, তাই কোনো বল না খেলেই ফিরে যেতে হয় ইয়াসির রাব্বিকে। জীবন পেয়ে ফ্রি হিট বলটি অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি ভানুকা।
এসএএস/এমএমআর/জেআইএম