জরিমানা দিয়ে কলকাতা থেকে দেশে ফিরলেন সাইফ
কলকাতার গোলাপি উৎসবে বড্ড ফ্যাকাশে ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স। উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মাদের পেস তোপে মাত্র আড়াইদিনেই ইনিংস ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। ২২ তারিখ শুরু হওয়া ম্যাচের সমাপ্তি ঘটে ২৪ তারিখে।
দুই দিন আগেই ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সফরসূচির বাইরে যে যার মতো ব্যক্তিগতভাবে দেশে ফিরতে শুরু করেন। দলের তরুণ সদস্য সাইফ হাসানও ম্যাচ শেষ হওয়ার পরদিন অর্থাৎ ২৫ তারিখ দেশে ফেরার উদ্দেশে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন।
কিন্তু ভারতীয় ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় বিমানবন্দর থেকে আবারও হোটেলে ফিরে যেতে হয় তাকে। সাইফের ভারতীয় ভিসা ছিল ছয় মাসের। মেয়াদ ছিল ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। ইডেনে পাঁচদিনের টেস্ট তিনদিনেই শেষ হয়ে যায় এই ২৪ নভেম্বর। সেদিনই যদি দেশের পথ ধরতে পারতেন, তাহলে আর সমস্যা হতো না সাইফের।
কিন্তু বাংলাদেশ দলের সঙ্গে পরের দিন ২৫ নভেম্বর বিমানবন্দরে উপস্থিত হন সাইফ। আর ভিসার মেয়াদ না থাকায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয় ডানহাতি এই ওপেনারকে।
ভিসা জটিলতার পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে গত মঙ্গলবার সাইফ বলেন, ‘আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ২৪ তারিখ পর্যন্ত মেয়াদ ছিল কিন্তু আমি যাচ্ছিলাম ২৫ তারিখ। কালকে (বুধবার) ফিরতে পারব ইনশাআল্লাহ। আশা করছি, হয়ে যাবে, কাল দুপুরে তারা (হাইকমিশন) আমাকে এই বিষয়ে জানাবে।’
তবে এ ঝামেলায় খুব বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়নি সাইফকে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের নির্ধারিত জরিমানা পরিশোধ করে বুধবারই তিনি ফিরে এসেছেন ঢাকায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ও দেশে ফেরার ভিসাবাবদ ২১৬০০ ভারতীয় রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫৫০০ টাকা) জরিমানা গুনতে হয়েছে এ উদীয়মান তারকাকে।
উল্লেখ্য, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ২২ তারিখে শুরু হওয়া ম্যাচ ৫ দিন চললে শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২৬ তারিখ। পরে ২৭ তারিখ বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে একসঙ্গে দেশে ফিরতেন সবাই। তখন একই সমস্যার কারণে হয়তো একাই ভারতে থেকে যেতে হতো সাইফকে।
টেস্ট সিরিজে ডাক পাওয়ার পর সাইফ ভারতে গিয়েছিলেন ৮ নভেম্বর। কিন্তু তার ভিসা করানো হয়েছিল আরও আগে আরেকটি সফরের জন্য। চলতি বছরের জুনে বিধর্ভার বিপক্ষে বিসিবি একাদশের হয়ে খেলার জন্য ভিসা করান সাইফ। ওই ভিসার মেয়াদ যে ২৪ নভেম্বর শেষ হয়ে যাবে, সেটি খেয়াল করেনি টিম ম্যানেজম্যান্ট। এজন্যই এমন জটিলতা।
এসএএস/জেআইএম