হঠাৎই ক্রিকেট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন ম্যাক্সওয়েল
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মন ভীষণ খারাপ, কিছুতেই ভালো হচ্ছে না। মনমরা হয়ে পড়ে থাকতেন, খেলা চালিয়ে গেলেও তার মুখ থেকে হাসি যেন উধাও হয়ে গিয়েছিল। কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার সেটা লক্ষ্য করেছেন। বন্ধুর মতো গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন-কি হয়েছে? ম্যাক্সওয়েল গোপন করলেন না। জানালেন-মানসিক অবসাদে ভুগছেন।
ওই অবসাদের কারণে ক্রিকেট থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিলেন ম্যাক্সওয়েল। ঠিক কত সময়ের জন্য জানা যায়নি। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি সিরিজে আর তাকে দেখা যাবে না, সেটি নিশ্চিত। থাকবেন না পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও।
অথচ অ্যাডিলেডে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৮ বলে ৬২ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েল। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি কাল শুক্রবার মেলবোর্নে। তার আগেই জানা গেল, ম্যাক্সওয়েল অনির্দিষ্টকালের জন্য সরে গেছেন। সামনের দিনগুলোয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ডাক্তার এবং মনোবিদরা কাজ করবেন এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে।
ম্যাক্সওয়েলের অবস্থা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কোচ ল্যাঙ্গার বলেন, ‘গত ১২ মাসে বেশ কয়েকবারই আমার মনে হয়েছে, কিছু একটা নিয়ে তার সমস্যা চলছে। তবে গত সপ্তাহে অ্যাডিলেডে এটা আলাদাভাবে দেখতে পাই। কিছু বিষয় আছে যা একদম ঠিকঠাক বলতে পারব না। আমি শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম, সে কেমন আছে? জবাবে সে বলে, 'না, আমি ভালো নেই আসলে।' আমি আনন্দিত যে সে এই পরিবেশে কথাটা বলার আস্থা পেয়েছে, এখন ভালো অবস্থায় ফিরতে তার কিছু কাজ করতে হবে।’
অ্যাডিলেডে দারুণ একটা ইনিংস খেলার পরও ম্যাক্সওয়েলের মধ্যে সেই আনন্দের অনুভূতিটা দেখেননি ল্যাঙ্গার। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সত্যি করে বলতে সে খুব বেশি উপভোগ করছিল না, মজাও পাচ্ছিল না। এই মুহূর্তে তার যতটা মজা করার দরকার ছিল, করেনি। তারপরও খেলার সময় মুখে হাসি রেখেছিল। এই মাস্কটাই সে ধরে রাখে। খেলার সময় এটা তার অস্ত্র, শক্তি। সে দারুণ একজন এন্টারটেইনার। তবে মাস্কের ভেতরে যা আছে, আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না। তবে যখন আপনার কারও সঙ্গে ভালো একটা সম্পর্ক থাকবে, বুঝতে পারবেন সে ভালো নেই।’
এমএমআর/পিআর