কলম্বোয় ১১৭, দেশে ফিরে সাইফের ১২০*
পাঁচদিনের ব্যবধানে দুই ম্যাচ, দুই মাঠের দূরত্ব প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার। তাতে কী! ভিন্ন দুই মাঠে, দুই ফরম্যাটের ম্যাচে একটুও বদলায়নি সাইফ হাসানের ব্যাটের ধার। যেখানে শেষ করেছিলেন শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে, সেখানেই শুরু করেছেন বাংলাদেশের চট্টগ্রামে।
শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে সাইফ খেলেছিলেন ১১৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। দেশে ফিরে স্বল্প সময়ের অনুশীলন পর্ব শেষেই তিনি আবার নেমে পড়েছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচ খেলতে।
আজ (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে প্রথম স্তরের দুই দল ঢাকা ও রংপুর বিভাগ। যেখানে সাইফের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে ঢাকা বিভাগ। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩১৪ রান।
তবে সেঞ্চুরি করলেও দিন শেষে ঠিক স্বস্তি নেই সাইফের। কেননা রংপুরের বোলাররা তার উইকেট নিতে না পারলেও, ব্যথা পেয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে হয়েছে তাকে। ইনিংসের দ্বিতীয় নতুন বল নেয়ার পর রবিউল হকের বোলিংয়ে আঘাত পেয়ে দিনের ১০ ওবার বাকি থাকতে হতাশা নিয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে তাকে।
মাঠ ছাড়ার আগে অবশ্য রংপুরের বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেছেন সাইফ, খেলেছেন ১২০ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস। নিজের সহজাত ব্যাটিংয়ে প্রায় সোয়া চার ঘণ্টার ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ১৩ চার ও ৩ ছয়ের মারে। দ্বিতীয় দিন অবস্থা বুঝে আবারও ব্যাট হাতে নামতে পারেন তিনি।
এদিকে সাইফের ক্যারিয়ারের চতুর্থ প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরিতে তাকে যথাযথ সঙ্গ দিয়েছেন বাকি ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার রনি তালুকদার খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস। পরে রকিবুল হাসানের সঙ্গে সাইফের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১২৭ রান। যেখানে অভিজ্ঞজনের অবদান ৫৭ রান।
রকিবুল আউট হন ২২৬ রানের মাথায়, পরে দলীয় ২৯৩ রানের সময় মাঠ ছাড়তে হয় সাইফকে। তখন দলের দায়িত্ব নিয়ে দারুণ ব্যাট করছিলেন প্রথম রাউন্ডে জোড়া ফিফটি করা তাইবুর পারভেজ। কিন্তু দিনের মাত্র ৪ ওভার বাকি থাকতে তাইবুর আউট হয়ে যান ৩৫ রান করে। দ্বিতীয় দিন সকালে শুভাগত হোম ৮ ও সুমন খান ২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন।
এসএএস/জেআইএম