বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিক্সিংয়ের জন্য কত টাকার চুক্তি ছিল, জানেন কি?
ক্রিকেট দুর্নীতির দায়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অধিনায়কসহ তিন খেলোয়াড় বুধবার পেয়েছেন আইসিসির নিষেধাজ্ঞা। নিষিদ্ধ তিন খেলোয়াড় হলেন-মোহাম্মদ নাভিদ, শাইমান আনোয়ার আর কাদির আহমেদ। আইসিসির এন্টি করাপশন আইনের ১৩টি ধারা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন এই তিন ক্রিকেটার।
এদের মধ্যে দুই খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে ফিক্সিংয়ের জন্য কত টাকার চুক্তি করেছিলেন, সেই তথ্যও এবার ফাঁস হলো। জানা গেছে, যদি তারা আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ঠিকভাবে ম্যাচ পাতাতে পারতেন, তবে প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার ইউএস ডলার পেতেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার মতো।
ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’ জানতে পেরেছে, এই দুই খেলোয়াড়কে বলা হয়েছিল একটি সেশন থেকে ম্যাচের ফল পর্যন্ত ফিক্স করার জন্য। যে ম্যাচ ৩টি ছিল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের।
এই দুই খেলোয়াড় কারা জানেন? আরব আমিরাতের নিয়মিত অধিনায়ক মোহাম্মদ নাভিদ এবং সিনিয়র খেলোয়াড় সাইমান আনোয়ার। চুক্তি ছিল তারা সুবিধামতো ম্যাচের একটি সেশন কিংবা ফল গড়াপেটায় অংশ নেবেন। আর টাকার অংকটাও ছিল কাজের ওপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ এক সেশন করতে পারলে একরকম আর পুরো ম্যাচের ফল বদলে দিতে পারলে আরেক রকম।
আইসিসির এন্টি করাপশন ইউনিট এই খেলোয়াড়দের নজরে রাখছে চলতি বছরের এপ্রিলে আরব আমিরাতের জিম্বাবুয়ে সফরের সময় থেকেই। তাদের সঙ্গে নজরে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেহারদ্বীপ ছায়াকর, যিনি কিনা আজমানে ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
এপ্রিলে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে আরব আমিরাতের কাদির আহমেদকে মূলত ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবটা দেন ছায়াকরই। নাভিদ আর আনোয়ারের সঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়া তৃতীয় খেলোয়াড় এই কাদির।
ভারতের আরও দুই বাজিকরের সঙ্গে ছায়াকরকে ক্রিকেট জুয়ায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল হারারে পুলিশ। কিন্তু পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। আরব আমিরাতের প্রথম খেলা আবুধাবিতে। নাভিদ আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার আগেই এই ম্যাচগুলোর জন্য নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে দলটি।
এমএমআর/পিআর