ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

রহমত শাহর যে স্বপ্ন পূরণ করে দিল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪৭ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বৃষ্টির কারণে খেলা থেমে ছিলো প্রায় ২৫ মিনিট। যে কারণে দ্বিতীয় সেশনে চা পানের বিরতি দেয়া হয় ত্রিশ মিনিট পরে। ততক্ষণে সেঞ্চুরির খুব কাছে পৌঁছে গেছেন আফগানিস্তানের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান রহমত শাহ। কিন্তু বিরতির আগে করতে পারেননি সেঞ্চুরি, অপরাজিত ছিলেন ৯৭ রানে।

তখন কি তার মাথার মধ্যে ঘুরছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের কথা? যে ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও এমন ভালো খেলতে খেলতে হুট করে ৯৮ রানের মাথায় ফিরে গিয়েছিলেন সাজঘরে। হয়তো এ বিষয়ে ভেবেছেন কিংবা চিন্তা করেছেন আগের কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলার।

তবে বিরতির পর জাদুকরী তিন অঙ্কে পৌঁছতে একদমই সময় নেননি ২৬ বছর বয়সী ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই নাঈম হাসানের অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি থার্ডম্যান দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিতে সেঞ্চুরি পূরণ করেন রহমত শাহ। নিজের ক্যারিয়ার ও আফগানিস্তানের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করতে ১৮৬ বল খেলেন তিনি, হাকাঁন ১০টি চার ও ২টি ছক্কা।

সেঞ্চুরি করে অবশ্য আর এগুতে পারেননি তিনি। ঠিক পরের বলেই স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্য সরকারের ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রহমত শাহ। তবে কাজের কাজ ঠিকই করেছেন তিনি। হয়েছেন দেশের পক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। যা তাকে এনে দিয়েছে মানসিক প্রশান্তি এবং স্বপ্নপূরণের উপলক্ষ্য।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে রহমত শাহ নিজেই জানিয়েছেন, দেশের পক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করা আগে থেকেই তার স্বপ্ন ছিল। যা পূরণ করতে পেরে বেশ আনন্দিতই দেখা গিয়েছে এ ব্যাটসম্যানকে।

নিজের ও দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির ব্যাপারে রহমত শাহ বলেন, ‘আগে থেকেই আমার স্বপ্ন ছিলো যে দেশের পক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটি আমিই করবো। তাই স্বাভাবিকভাবেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৮ রানে আউট হওয়ায় খুবই হতাশ ছিলাম। আজ আবার সুযোগ পেয়েছি, সেঞ্চুরি করতে পেরে আমি আনন্দিত।’

এ সময় রহমত শাহ এটিও মনে করিয়ে দেন যে, টেস্ট ক্রিকেটে দেশের পক্ষে প্রথম ফিফটি করা ব্যাটসম্যানও তিনি। রহমত বলেন, ‘এটা আমার জন্য গর্বের মুহূর্ত। আফগানিস্তানের পক্ষে প্রথম হাফসেঞ্চুরিও আমার করা। এখন প্রথম সেঞ্চুরিও করলাম। আমি আজকের ব্যাটিং উপভোগ করেছি। সে ম্যাচের ৯৮ রানের ইনিংসটি দারুণ ছিলো তবে আজকে সেঞ্চুরি করেছি। এখনও ম্যাচের চার দিন বাকি রয়েছে।’

এসএএস/এমএমআর/পিআর

আরও পড়ুন