অস্ট্রেলিয়ার প্রথম মুসলিম অধিনায়ক হিসেবে জল্পনা কল্পনা, অতঃপর বাদ
স্টিভেন স্মিথ বল টেম্পারিং কাণ্ডে সাজা পাওয়ার পর তড়িঘড়ি করে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক করা হয় টিম পেইনকে। তখন আসলে বিকল্প ভাবার সময়ও ছিল না। তবে পেইনের নেতৃত্ব নিয়ে কখনই খুব বেশি আপ্লুত ছিল না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
হেডিংলিতে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হাতের মুঠো থেকে জয় ছুটে যাওয়ার পর থেকে পেইনের নেতৃত্বগুণ নিয়ে ফের শুরু হয়েছে সমালোচনা এবং সেটা বেশ জোরেসোরেই।
চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ৩৫৯ রানের। ২৮৬ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত হার দেখছিল স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দশম উইকেটে অবিশ্বাস্য এক জুটিতে অসাধ্য সাধন করেন বেন স্টোকস। ১৩৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই অলরাউন্ডার।
এমন ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়ার হার দেখে ভীষণ খেপেছেন সমর্থক ও সাবেকরা। তারা বেশিরভাগই মনে করছেন, টিম পেইনের দুর্বল নেতৃত্বেই হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটা হারতে হয়েছে অসিদের।
ভবিষ্যতের জন্য অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের দায়িত্ব নতুন কাউকে বুঝিয়ে দেয়া যায় কি না, এ নিয়ে আলোচনা তখন থেকেই। যার মধ্যে চলে আসে অভিজ্ঞ উসমান খাজার নাম।
সিরিজের চতুর্থ টেস্টের আগে ডার্বিশায়ারের তিন দিনের অনুশীলন ম্যাচে খাজাকে অধিনায়কও ঘোষণা করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। টিম পেইনকে দেয় বিশ্রাম। এরপরই চারিদিকে গুঞ্জন, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম মুসলিম অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে খাজাকে।
তবে যাকে নিয়ে এত জল্পনা কল্পনা, সেই খাজাকে এবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টের দলেই নেয়নি অস্ট্রেলিয়া। ১২ সদস্যের মধ্যেও জায়গা হয়নি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের। তার জায়গায় ফিরেছেন মাথায় আঘাত পেয়ে আগের টেস্ট না খেলা স্টিভেন স্মিথ। ফিরেছেন পেসার মিচেল স্টার্কও।
উসমান খাজাকে তাই ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছে কি না, সেটি নিয়ে সংশয়ই তৈরি হলো। যার জায়গা একাদশেই নিয়মিত নয়, তাকে অধিনায়ক করার আগে নিশ্চয়ই দ্বিতীয়বার ভাববে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
ম্যানচেস্টারে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট শুরু হবে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে।
অস্ট্রেলিয়া দল : ডেভিড ওয়ার্নার, মার্কাস হ্যারিস, মার্নাস লাবুসচাগনে, স্টিভেন স্মিথ, ট্রাভিস হেড, ম্যাথু ওয়েড, টিম পেইন (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), প্যাট কামিন্স, পিটার সিডল, মিচেল স্টার্ক, নাথান লিয়ন, জস হ্যাজলউড।
এমএমআর/এমকেএইচ