জাতীয় দলের পাশাপাশি দ্বিতীয় দল তৈরির লক্ষ্য বিসিবির
ক্রিকেটাররা ব্যস্ত টেস্ট আর তিন জাতি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি নিয়ে। ভাদ্রের ‘তাল পাকা’ গরমেও চলছে প্রায় সারা দিন অনুশীলন। আগামীকাল শুক্রবার থেকে আবার দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শুরু হচ্ছে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে।
পাশাপাশি নির্বাচকরাও যারপরনাই ব্যস্ত। তাদেরও একসাথে অনেকগুলো দল গড়তে হচ্ছে। সবার আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দল সাজাতে হচ্ছে। ভিতরের খবর, আজই মোটামুটি দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। কাল তা বোর্ডে পাঠানো হবে বিসিবি সভাপতি নাজমু হাসান পাপনের অনুমোদনের জন্য।
পাশাপাশি আরও দুটি দল নির্বাচনের কাজেও ব্যস্ত মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর হাবিবুল বাশার। একটি হলো আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য বিসিবি একাদশ আর অন্যটি হলো কাল থেকে সাকিব, মুশফিক ও রিয়াদরা নিজেদের মধ্যে যে দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন, তার জন্য দল।
বলার অপেক্ষা রাখে না, ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফিসহ ৩৫ জনকে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাকা হলেও তার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ এখন এইচপি তথা ইমার্জিং দলের হয়ে লঙ্কান ইমার্জিং দলের বিপক্ষে সিরিজে ব্যস্ত। তাই তাদের বড় অংশ অন্তত ৮ থেকে ৯ জন এখন শেরে বাংলায় প্র্যাকটিসে নেই। তারা খুলনায় চার দিনের ম্যাচ শেষে পাড়ি জমাবেন কক্সবাজারে; চার দিনের শেষ ম্যাচটি খেলার জন্য।
শুধু মূল বহরের সাথে প্র্যাকটিস করতে না পারাই নয়। আগামীকাল থেকে সাকিব ও মুশফিকরা যে দু’দিনের গা গরমের ম্যাচ খেলবেন, তাতেও অংশ নিতে পারছেন না তারা।
এদিকে এ ম্যাচ খেলবেন না অফ স্পিনার কাম লেট অর্ডার মেহেদি হাসান মিরাজও। হাতের ব্যথায় এই ম্যাচ খেলা হবে না আরেক সম্ভাবনাময় তরুণ অলরাউন্ডার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবেরও। এই তরুণ মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ স্পিনও করেন।
তাদের দিকে নজর আছে নির্বাচকদেরও; কিন্তু হাতের তালুতে ব্যান্ডেজ থাকায় তার পক্ষেও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা হচ্ছে না। আজ জাতীয় দলের প্র্যাকটিস বিরতির দিনে প্রধান নির্বাচকের দেখা মিললো একাডেমি মাঠে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে যে দলটি চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে, সেই দলের অনুশীলন কার্যক্রম সরেজমিনে দেখতে বিসিবি একাডেমিতে গিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক।
সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে টেস্ট স্কোয়াড ছাড়া বাকি দুই প্র্যাকটিস ম্যাচের দল সাজানো ও ওই দুই দল গঠন সম্পর্কে ধারনা দিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘এইচপির বাইরেও আমাদের ৬০ জনের একটা পুল করা আছে। প্রথম শ্রেণির ম্যাচের ক্রিকেটার আছে কিছু। আমরা নিজেরাই ওখান থেকে রেডি করেছি কিছু। কিছু উঠতি ক্রিকেটারও রাখা হয়েছে এখানে।’
এছাড়া খুলনা থেকে কাউকে জাতীয় দলে নেয়া হবে কি না? এ প্রশ্ন করা হলে নান্নু বলেন, ‘আমাদের ৫৫ জনের একটা পুল করা আছে। সেখানে ‘এ’ দল খেলছে, এইচপি খেলছে, জাতীয় দল খেলছে। তো তিনটি ফরম্যাটের তিনটি দল আমাদের তৈরি করতে হচ্ছে। এই ৫০-৫৫ জন ক্রিকেটার থেকেই কিন্তু আমরা করছি। এখান থেকেই প্রস্তুতি ম্যাচের দলটি দেয়া হয়েছে। তাদের সবাইকেই প্ল্যাটফর্ম দেওয়া হয়েছে। তারা যে যেখানে ভালো খেলবে, তাকে উপরের দিকে আনা হবে।’
যারা ভালো করছে তাদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে নান্নু বোঝাতে চেষ্টা করেন, তাদের লক্ষ্য পাইপ লাইন সমৃদ্ধ করা এবং দ্বিতীয় দল তৈরি করা। তাই মুখে এমন কথা, ‘এখানে আমরা পাইপলাইনের ক্রিকেটারের কথা বলছি। আমাদের দ্বিতীয় দল তৈরি করা। এইচপি এবং ‘এ’ দল দিয়েই কিন্তু তৈরি করতে হয়। এখানে অনেক ক্রিকেটারের ভালো পারফর্মেন্স হয়েছে। কিছু ক্রিকেটার অবশ্যই চেষ্টা করছে। তো তৈরি করে রাখা মানে জাতীয় দলে যাদের দরকার হবে তাদের অবশ্যই এখান থেকে নেওয়া হবে।’
এআরবি/আইএইচএস/এমকেএইচ