এখন বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে ৫ জনই দক্ষিণ আফ্রিকান
বাংলাদেশের ক্রিকেটে কি আবার দক্ষিণ আফ্রিকানদের আধিপত্য শুরু হলো? তবে কি লঙ্কান সাম্রাজ্য শেষ না হতেই শুরু হলো প্রোটিয়াদের রাজত্ব?
বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাঝের বেশ কিছুদিন ছিল লঙ্কান কোচিং স্টাফদের দৌরাত্ম্য। প্রায় চার বছর হেড কোচ হিসেবে কাজ করেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার সময়ে প্রায় পুরো কোচিং স্টাফই ছিলেন শ্রীলঙ্কার।
ব্যাটিং কোচ ছিলেন থিলান সামারাবিরা, স্পিন বোলিং কোচ রোয়ান কালপাগে, ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন আর ফিজিও চন্দ্রমোহন- সবই ছিলেন লঙ্কান। শুধু পেস বোলিং কোচটাই ছিলেন একজন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান-কোর্টনি ওয়ালশ।
সেই ধারা পাল্টে এ মুহূর্তে টাইগারদের হেড কোচ দক্ষিণ আফ্রিকার রাসেল ডোমিঙ্গো। তার সাথে ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি, পেস বোলিং কোচ চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্ট, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক আর ফিজিও জুলিয়ান- সবাই দক্ষিণ আফ্রিকান।
স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেটোরি আর ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নই শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার নন। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভেট্টোরি সাবেক নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার আর মারিও শ্রীলঙ্কান।
তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রোটিয়া কোচিং স্টাফের আধিক্যের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। টেস্ট মর্যাদা পাবার পর বিশেষ করে টেস্ট খেলা শুরুর পর টাইগারদের প্রথম ভিনদেশি ‘দ্রোনাচার্য্য’ ছিলেন একজন দক্ষিণ আফ্রিকান, নাম -এডি বার্লো।
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে খুবই সমাদৃত এ ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ এবং প্রচন্ড ক্রিকেট মেধা, বোধ-বুদ্ধিসম্পন্ন প্রোটিয়ার সাথে তখন আরও একজন প্রোটিয়া ছিলেন, তিনি গেভিন বেঞ্জাফিল্ড । টেস্ট খেলিয়ে দল বাংলাদেশের প্রথম ফিজিও ছিলেন গেভিন বেঞ্জাফিল্ড।
উল্লেখ্য, দেশি কোচ সারোয়ার ইমরানের অধীনে টেস্ট খেলতে শুরু করেছিল টাইগাররা। তারপর অল্প সময়ের মধ্যেই জাতীয় দল পরিচালনা, পরিচর্যা এবং পরিকল্পনার সমুদয় দায় দায়িত্ব পালন করেন এডি বার্লো।
অবশ্য বার্লোর কাজটি যতটা ব্যবহারিক ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল তাত্ত্বিক। তার সাথেই ফিজিও হিসেবে কাজ করেছেন বেঞ্জাফিল্ড। দেখভাল করেছেন নাইমুর রহমান দুর্জয়, আকরাম খান, আমিনুল ইসলাম, হাবিবুল বাশার, মেহরাব অপি ও মোহাম্মদ রফিকদের।
অবশ্য এডি বার্লো বেশিদিন কাজ করতে পারেননি। অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরে যান। তার কিছুদিন পর পরপারে পারি জমান দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ।
এআরবি/এমএমআর/পিআর