‘টেস্ট বিশ্বকাপে’ বড় লাফ শ্রীলঙ্কার, জেনে নিন নিয়ম
টেস্ট ফরমেটটা এখন আর সেভাবে দর্শক টানে না। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির দাপটে টেস্ট যেন মরতে বসেছে। সেই মৃতপ্রায় ফরমেটকে জীবিত করতে আইসিসির নতুন আয়োজন ‘ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বা ডব্লিউটিসি’, যাকে বড় ফরমেটের বিশ্বকাপও বলা হয়।
চলতি আগস্ট মাসের ১ তারিখ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। দুই বছর পর্যন্ত চলবে এই টুর্নামেন্ট। পয়েন্টের ভিত্তিতে দুই দলের ফাইনাল হবে। সেখান থেকে বেছে নেয়া হবে চ্যাম্পিয়ন।
এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে শুরুতেই বড়সড় এক লাফ দিলো শ্রীলঙ্কা। গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে তারা ৬ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। তাতে পূর্ণ ৬০ পয়েন্ট পেয়ে এখন তালিকার এক নাম্বারে লঙ্কানরা।
এদিকে অ্যাশেজ সিরিজও এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আওতায় পড়েছে। দুই টেস্টের প্রথমটি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয়টি হয়েছে ড্র। ফলে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া, ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড এক টেস্ট খেলে হারায় কোনো পয়েন্ট পায়নি। বাকি দলগুলো এখনও টেস্ট খেলেনি।
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, এই পয়েন্ট পদ্ধতিটা কিভাবে সাজানো হয়? পয়েন্ট ভাগাভাগিটা বেশ জটিলই। ক্রিকেট এমনিতেই জটিল হিসাব-নিকাশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট ভাগাভাগিও তেমনি জটিল বিষয়। ডব্লিউটিসি’র অধীনে যে সব সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে, তার প্রতিটি সিরিজের জন্য পয়েন্ট হবে ১২০ করে। যেমন অ্যাশেজ সিরিজের কথাই ধরা যাক। এখানে ম্যাচ ৫টি। প্রতিটি জয়ের জন্য পয়েন্ট ভাগ হবে ২৪ করে।
যদি ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হয় (যেমন- শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড কিংবা ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ) তাহলে সেখানে প্রতিটি জয়ের জন্য পয়েন্ট থাকবে ৬০ করে।
যদি ড্র হয়, তাহলে পয়েন্ট হবে জয়সূচক পয়েন্টের এক তৃতীয়াংশ। যেমন অ্যাশেজে ড্র হলে পয়েন্ট হবে ৮ করে। দুই ম্যাচের সিরিজে ড্র হলে পয়েন্ট হবে ২০ করে। আর যদি কোনো ম্যাচ টাই হয়ে যায়, তাহলে সেখানে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে জয়সূচক পয়েন্টের অর্ধেক করে।
দুই বছরের চক্র এবং নির্ধারিত ২৭টি সিরিজ শেষে যে দুটি দল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকবে, তারাই মুখোমুখি হবে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। যেটা অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ সালের জুনে, লন্ডনের বিখ্যাত লর্ডস স্টেডিয়ামে।
এমএমআর/এমকেএইচ