হাসারাঙ্গার অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে কুপোকাত সাইফ-আফিফরা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মানেই বাঁহাতি অর্থোডক্স আর অফস্পিনারের ঠাসা এক দল। একজন লেগস্পিনারের জন্য বাংলাদেশের হাপিত্যেশ অনেকদিনের। কে জানে সে হাহাকার মিটবে কবে! সেটা শুধু জাতীয় দলেরই নয়। ‘এ’ দল, হাই পারফরমেন্স ইউনিট আর বয়স ভিত্তিক যুবাদেরও ।
এদিকে নিজেরা লেগস্পিনার তৈরি করতে না পারার আক্ষেপে পোড়াই শেষ কথা নয়। যতই দিন যাচ্ছে, অন্য দলগুলোর লেগ ব্রেক গুগলি বোলারদের স্পিন আক্রমণে কম্মসাবাড় হবার জোগাড়!
এই যেমন আজ (রোববার) বিকেএসপিতে লঙ্কান লেগি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ডি সিলভার স্পিন ভেলকিতে কুপোকাত সাইফ, নাইম আর আফিফরা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে লঙ্কান ইমার্জিং একাদশের কাছে ১৮৬ রানের বিরাট ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ইমার্জিং একাদশ।
অবশ্য শুধু যে লেগস্পিনার হাসারাঙ্গাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, তা নয়। ব্যাটসম্যান হাসারাঙ্গাও কম যাননি। ছয় নম্বরে নেমে ৪৬ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৭০ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের বোলিংকে লণ্ডভণ্ড করে দেন এ অলরাউন্ডার। কার্যত তার দুর্দান্ত অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের সামনেই কুলিয়ে উঠতে পারেনি স্বাগতিক তরুণরা।
সাথে টপ অর্ডারে অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার ৭৯ বলে ৭১ রানের আর এক কার্যকর ইনিংস যুক্ত হলে ৩০৪ রানের বড়সড় স্কোর পায় লঙ্কানরা। জবাবে বাংলাদেশ মাত্র ১১৮ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ওপেনার সাইফ হাসান ৭০ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫০ রান করেন। আর বাকি ১০ জন মিলে করেন মোটে ৪৪। এর সাথে অতিরিক্ত থেকে দ্বিতীয় সর্বাধিক ২৪ যোগ হওয়ায় বাংলাদেশ ১০০ পার হয়। আফিফ ১৯ আর উইকেটকিপার মেহেদি ইসলাম অঙ্কন করেন ১০। বাকিরা কেউ দু অংকে পা রাখতে পারেননি।
বাংলাদেশের পেসাররা বিশেষ করে শহিদুল ইসলাম (১০ ওভারে ২/৭১) ও ইয়াসিন আরাফাত মিশু (১০ ওভারে ১/৮৯) হালে পানি না পেলেও লঙ্কান দুই স্পিনার বোলার লেগি হাসারাঙ্গা (৪/১২), বাঁহাতি আমিলা আপনসো (২/২৫) আর দুই দ্রুত গতির বোলার শিরান ফার্নান্ডো (২/২৮), নোয়ান তুষারা (২/২১) ঠিকই বল হাতে জ্বলে উঠে ব্যবধান গড়ে দেন।
এআরবি/এমএমআর/পিআর