ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

২৫৮ রানে অলআউট ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াও বিপদে

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ১৬ আগস্ট ২০১৯

টস জিতে কেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টিম পেইন ফিল্ডিং বেছে নিলেন, সেটা বুঝিয়ে দিলেন তার বোলাররা। জস হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স আর স্পিনার নাথান লায়ন মিলে ধ্বংস্তুপ রচনা করেছে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপের ওপর। টেল এন্ডারে জনি বেয়ারেস্ট আর ক্রিস ওকস কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে না পারলে ২০০ রানও করতে পারতো না স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

লর্ডস টেস্টে তবুও শেষ পর্যন্ত লড়াই করে প্রথম ইনিংসে ২৫৮ রান তুলতে সক্ষম হলো ইংল্যান্ড। শেষ মুহূর্তে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে জনি বেয়ারেস্ট ৫২ রান করে ইংলিশদের লড়াই করার পুঁজি এনে দিয়েছেন। ৫৩ রান করেন ওপেনার ররি বার্নস।

জবাবে ব্যাট করকে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ওয়ার্নারের উইকেট হারাতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে অ্যাশেজে এসে মোটেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না ওয়ার্নার। আগের টেস্টেও ছিলেন ব্যর্থ। এবারও দিলেন ব্যর্থতার পরিচয়।

১৭ বল খেলে মাত্র ৩ রান করে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে তাকে। দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ১৩ ওভার মোকাবেলা করে ১ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান। ৫ রানে ক্যামেরন বেনক্রফট এবং ১৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন উসমান খাজা। এখনও ২২৮ রান পিছিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

এর আগে বৃষ্টিতে পুরো একটি দিন ভেসে গেছে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই হলো টস। সেই টস জিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকেই ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টিম পেইন। ভেজা উইকেট, একদিন কাভারে ঢাকা ছিল, তাই প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অসি অধিনায়ক।

Aust-ENG

তার ধারণা সত্যি প্রমাণ করে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা শুরুতেই চেপে ধরে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপকে। একমাত্র ওপেনার ররি বার্নস ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি অসি বোলারদের সামনে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হারাতে শেষ পর্যন্ত ১৩৮ রানেই নাই হয়ে যায় ইংলিশদের ৬ উইকেট।

তবে এমন পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের হাল ধরলেন ক্রিস ওকস এবং জনি বেয়ারেস্ট। এ দুজনের ৭২ রানের জুটি মোটামুটি সম্মান বাঁচিয়ে দিয়েছে ইংলিশদের। তাদের ব্যাটে ভর করে ২০০ রান পার হয় ইংল্যান্ড। তবে ৭২ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তারা দুজন। ৬২ বলে ৩২ রান করে আউট হয়ে যান ক্রিস ওকস।

দিনের শুরুতেই জস হ্যাজলউডের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জেসন রয়। এরপর ১৪ রান করে আউট হয়ে যান অধিনায়ক জো রুট।

জো ড্যানলি মাঠে নেমে জুটি বাধেন ররি বার্নসের সঙ্গে। ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। এ সময় ৩০ রানে আউট হয়ে যান জো ড্যানলি। দলীয় রান তখন ৯২। এরপর কিছুক্ষণ পর, দলীয় ১১৬ রানে আউট হয়ে যান ররি বার্নসও। তিনি করেন সর্বোচ্চ ৫৩ রান।

জস বাটলার ১২ এবং বেন স্টোকস ১৩ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে মাঠে নেমে জুটি বাধেন জনি বেয়ারেস্ট এবং ক্রিস ওকস। তবে তাদের ৭২ রানের জুটি ভেঙে দেন প্যাট কমিন্স। এরপর জোফরা আর্চার ১২, স্টুয়ার্ট ব্রড ১১ রান করে আউট হন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান জনি বেয়ারেস্ট। হ্যাজলউড, কামিন্স এবং লায়ন নেন ৩টি করে উইকেট। বাকি উইকেটটি নেন পিটার সিডল।

আইএইচএস/এমএস

আরও পড়ুন