পারলো না বাংলাদেশ, চ্যাম্পিয়ন ভারত
মাহমুদুল হাসান জয়ের লড়াকু সেঞ্চুরিটা পুরোপুরি মাঠে মারা গেলো। ১৩৪ বলে খেলা তার ১০৯ রানের ইনিংসটা কোনো কাজেই আসলো না। তার সঙ্গে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ছাড়া আর কেউ যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হলো। যার ফলে শক্তিশালী ভারতের সামনে চ্যালেঞ্জটাও খুব শক্ত-পোক্ত করে দেয়া যায়নি।
ভারতীয়দের কেউ সেঞ্চুরি করেনি। তবে যারাই ব্যাট করতে নেমেছে, তাদের অধিকাংশই ভালো ভালো ইনিংস খেলেছে। ফলে, ৮ বল হাতে রেখেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ৬ উইকেটের ব্যবধানে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারতীয় যুবারা। সে সঙ্গে ৬ উইকেটের এই জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপাও জিতে নেয় ভারত।
ত্রিদেশীয় লড়াই হলেও অত্যন্ত লম্বা ছিল ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের এই যুব ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। স্বাগতিক ইংল্যান্ডছাড়াও এই টুর্নামেন্টের বাকি দুই দল ছিল বাংলাদেশ এবং ভারত। তিনটি দলই পরস্পরের মধ্যে চার রাউন্ড করে ম্যাচ খেলে। অর্থাৎ লিগের মোট ৮টি করে ম্যাচ খেলার পর ফাইনালে প্রবেশ করে ভারত এবং বাংলাদেশ।
লিগ পর্বে একবার ভারতীয় দলকে হারিয়েছিল বাংলাদেশের যুবারা। কিন্তু ফাইনালে এসে আর পারলো না বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। হারতে হলো ৬ উইকেটের ব্যবধানে।
হোভের কাউন্টি গ্রাউন্ডে ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬১ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় যুব টাইগাররা। মাহমুদুল হাসান জয় ১০৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। ৬৪ বলে ৬০ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন। এছাড়া ৩২ রান করেন শামিম হোসেন এবং ২৬ রানের যোগান দেন তানজিদ হাসান। বাকিরা কেউ দু’অঙ্কের ঘরেও পৌঁছাতে পারেনি।
ভারতের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন কার্তিক ত্যাগি ও সুশান্ত মিশ্র। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন রবি বিষ্ণোই ও শুভাং হেজ। বাংলাদেশের চারজন ব্যাটসম্যান রান-আউট হয়ে ক্রিজ ছাড়েন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ ৬৬ বলে ৭৩ রান করেন। যশস্বি জসওয়াল ৫০ ও দিব্যাংশ সাক্সেনা ৫৫ রান করে আউট হন। প্রজ্ঞেশ কানপিলেওয়ার ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ধ্রুব জুরেল ৫৯ ও তিলক বর্মা ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
রাকিবুল হাসান ৫৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী এবং শরিফুল ইসলাম।
আইএইচএস/এমএস