অস্ট্রেলিয়ার ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ মিচেল জনসন!
২০১৫ সালের অ্যাশেজের শেষ ইনিংসে ১৪৩ রানের ইনিংস দিয়ে শুরু। এরপর থেকে মর্যাদার অ্যাশেজের স্মিথে ইনিংসগুলো যথাক্রমে ১৪১*, ৪০, ৬, ২৩৯, ৭৬, ১০২*, ৮৩, ১৪৪ ও ৪৬* (খেলছেন)। অর্থাৎ ১০ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি ও ২ হাফসেঞ্চুরিতে ১৪৫.৭১ গড়ে ১০২০ রান! এক কথায় অবিশ্বাস্য।
এর মধ্যে ২০১৭-১৮ মৌসুমের অ্যাশেজে ৭ ইনিংস ব্যাট করে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ হাফসেঞ্চুরিতে ১৩৭.৪০ গড়ে ৬৮৭ রান করেছিলেন স্মিথ। এরপর ২০১৮ সালের মার্চে বল টেম্পারিং কান্ডে জড়িয়ে নিষিদ্ধ থাকেন এক বছরের জন্য। চলতি অ্যাশেজ দিয়ে ফিরেছেন টেস্ট ক্রিকেটে এবং শেষ করেছিলেন যেখানে শুরুটাও সেখান থেকে করেছেন স্মিথ।
বার্মিংহাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর, দ্বিতীয় ইনিংসেও অপরাজিত রয়েছেন ৪৬ রানে। তাকে থামানোর কোনো উপায়ই যেনো পাচ্ছে না ইংল্যান্ডের বোলাররা। এমতাবস্থায় ইংলিশদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার মিচেল জনসন। ঠিক যেন ঘরের শত্রু বিভীষণ!
তবে ঠিক শত্রু শিবিরে গিয়ে স্মিথকে থামানোর কৌশল বলেননি জনসন। একইসঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে তাকে আউট করার কিছু উপায় শুধু বলেছেন বাঁহাতি এ পেসার। স্মিথের সঙ্গে প্রায় ৫ বছর জাতীয় দলে খেলেছেন জনসন। সে অভিজ্ঞতার কারণেই মূলত তাকে জিজ্ঞেস করা হয় কীভাবে আউট করা সম্ভব স্মিথকে।
জবাবে জনসন বলেন, ‘দেখুন একটা কঠিন একটা প্রশ্ন। আমি তো ওর বিপক্ষে নেটে বোলিং করতেই হতাশ হয়ে যেতাম। সে নেটে ব্যাটিংয়ের সময়ই এতটা সিরিয়াস থাকে, তাহলে ম্যাচে আরও কত বেশি থাকে বুঝুন! তবে আমি মনে করি, আমার অভিজ্ঞতা থেকে একটা উপায় বলা যেতে পারে।’
তিনি বলতে থাকেন, ‘নতুন বলে, যখন শক্ত থাকে তখন একদম স্টাম্প টু স্টাম্প বোলিং করে যেতে হবে। পিচ থেকে হয়তো সাহায্য পাওয়া গেলেও যেতে পারে। এটা হয়তো তার নিজেরও শক্তির জায়গা। তবু এভাবেই আউট করা যাবে। লেগসাইডে ভালোভাবে ফিল্ডার দিয়ে আটকাতে হবে। তাহলে হয়তো লেগ বিফোর বা এজ হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হতেও পারে। খুব সহজে বলে ফেললাম। কিন্তু কাজটা খুব কঠিন।’
ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২৪ রান। ইংলিশদের ৯০ রানের লিড পেরিয়ে অস্ট্রেলিয়ানরা এগিয়ে রয়েছে ৩৪ রানে, হাতে রয়েছে ৭ উইকেট। স্টিভেন স্মিথ ৪৬ এবং ট্রাভিস হেড ২১ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
এসএএস/পিআর