প্রতি ম্যাচের আগে-পরে হাঁটু থেকে রক্ত বের করতে হতো শোয়েব আখতারের
ক্রিকেট খেলায় অন্য যে কারো চেয়ে বেশি ইনজুরিতে ভুগতে হয় পেস বোলারদের। ছোটখাটো চোট এবং নিগেলের সঙ্গে খেলে যাওয়া পেসারদের জন্য নিত্যদিনের ব্যাপার। কিন্তু এটি করতে গিয়েই দীর্ঘসময়ের ইনজুরি বাঁধিয়ে বসেন গতিময় তারকারা।
যাদের মধ্যে অন্যতম পাকিস্তানের সাবেক তারকা পেসার শোয়েব আখতার। দ্রুতগতির বোলার হিসেবে বেশ নামডাক ছিলো তার। নতুন বল হাতে ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপন ধরাতে শোয়েব আখতার ছিলেন বিশেষ পারদর্শী। কিন্তু এই জোরে বোলিংয়ের নেশায় পড়ে বারবার ধরা দিয়েছেন ইনজুরির কাছে।
তবু খেলে গেছেন ভালোবাসার জোরে, ক্রিকেটের প্রতি আত্মনিবেদনের কারণে। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা ১৪ বছরের ছিলো শোয়েব আখতারের। অথচ নিজের প্রথম টেস্ট খেলেই শোয়েব আখতারকে শুনতে হয়েছিল তার হাতে রয়েছে মাত্র দুই বছর। এরপর আর খেলতে পারবেন না পায়ের হাঁটুর সমস্যার কারণে।
সেসবে পাত্তা দেননি রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। যে কারণে প্রতি ম্যাচের আগে ও পরে হাঁটু থেকে দুই সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করা লাগতো তার। নিয়মিত এগুলো করেই ক্যারিয়াকে ১৪ বছর দীর্ঘায়িত করেছেন শোয়েব আখতার। অবসরের প্রায় ৮ বছর পর এ বিষয়টি সবাইকে জানিয়েছেন এ গতিতারকা।
ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে দেয়া এক ভিডিওবার্তায় শোয়েব বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টের পরেই আমাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছিল। তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন যে আর মাত্র দুই বছর বাকি আছে আমার। এরপর থেকে ডাক্তাররা প্রতি ম্যাচের আগে ও পরে আমার হাঁটু থেকে রক্ত বের করে আনতেন। সতীর্থরা মনে করতো আমি হয়তো কোনো ক্লাবে যাচ্ছি। কিন্তু আমি তখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চার সিরিঞ্জ রক্ত বের করার জন্য ব্যস্ত থাকতাম।’
১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মতো হাঁটুর সমস্যার কথা জানলেও, এতদিন ধরে কোনো বড় চিকিৎসা বা অপারেশন করাননি শোয়েব। অবশেষে ২২ বছর পর, অস্ট্রেলিয়ায় আগামী সপ্তাহে তার ডান হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হতে যাচ্ছে।
এ কথা জানিয়ে শোয়েব আরও বলেন, ‘আশা করছি, ২২ বছর পর অবশেষে আমার হাঁটুর সমস্যা দূর হতে যাচ্ছে। ডাক্তাররা আমার ডান হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করবেন। জীবনে প্রথমবারের মতো হয়তো হাঁটুতে আর ব্যথা অনুভব করবো না আমি।’
এসএএস/জেআইএম