স্মিথের জবাবে বার্নসের সেঞ্চুরি
ম্যাচের প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়াকে খুব বেশি এগোতে দেয়নি স্বাগতিক ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে অসিদের ২৮৪ রানেই গুটিয়ে দেয় কদিন আগে বিশ্বকাপ জেতা দলটি। জবাবে প্রথম দিন শেষে বিনা উইকেটে ১০ রান তুলেছিল ইংলিশরা। দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে তারা।
অধিনায়ক জো রুটের ফিফটি এবং অ্যাশেজে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ররি বার্নসের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রান করতে পেরেছে ইংল্যান্ড। এখনও তারা পিছিয়ে ১৭ রানে, তবে হাতে রয়েছে ৬টি উইকেট।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ইংল্যান্ড উইকেট হারায়। বিশ্বকাপ মাতানো জেসন রয় ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসটায় নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ১০ রান করেই জেমস প্যাটিনসনের শিকার হন মারকুটে এই ওপেনার। ২২ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
সেখান থেকে অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেন ররি বার্নস আর জো রুট। ১৩২ রান যোগ করেন তারা। হাফসেঞ্চুরিয়ান রুটকে (৫৭) ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন পিটার সিডল।
এরপরও একটা সময় ২ উইকেটেই ১৮৯ রান তুলে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে জোড়া ধাক্কায় ম্যাচে ফেরে অস্ট্রেলিয়া। ১৮ রান করা জো ডেনলিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন প্যাটিনসন। এরপর জস বাটলার মাত্র ৫ রানেই পরিণত প্যাট কামিন্সের শিকারে।
১৯৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। তবে চতুর্থ উইকেটে ওপেনার বার্নসের সঙ্গে জুটি বাধেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। দুজন মিলে কাটিয়ে দেন দিনের বাকি অংশটা। দলীয় সংগ্রহটাকে পৌঁছে দেন ৪ উইকেটে ২৬৭ রানে।
এরই মাঝে ইংল্যান্ডের দশম ক্রিকেটার হিসেবে অ্যাশেজে নিজের প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন বার্নস। দিন শেষে অপরাজিত থাকেন নামের পাশে ২৮২ বলে ১২৫ রানের সংগ্রামী ইনিংস নিয়ে। অন্যপ্রান্তে স্টোকসের সংগ্রহ ৭১ বলে ৩৮ রান।
এসএএস/জেআইএম