জুয়া খেলিনি, ক্যাসিনোতে খেতে গিয়েছিলাম : সুজন
শ্রীলঙ্কায় দলের অবস্থা খুব খারাপ, এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ খুইয়ে বসেছে টাইগাররা। এমন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল। যে ভিডিওতে দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনকে দেখা যায় কলম্বোর একটি ক্যাসিনোতে, যেখানে কিনা রমরমা জুয়ার আসরও বসে।
এমনিতেই দলের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই, এর মধ্যে কোচ সময় কাটাচ্ছেন জুয়ার আসরের মধ্যে। বিষয়টি তাই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি টাইগার ভক্ত সমর্থকরা। ওই ভিডিও ছড়িয়ে পরার পর তাই সমালোচকদের রোষানলে পড়েন খালেদ মাহমুদ সুজন।
তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারও তো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকতে হবে। জানতে হবে, ঘটনাটা আসলে কি ঘটেছিল। আসলেই ওই ক্যাসিনোতে কি করতে গিয়েছিলেন সুজন?
বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাতকারে সেই আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে সুজন জানালেন- যা রটেছে, তা মোটেই সত্য নয়। ক্যাসিনোতে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও জুয়া খেলেননি বলেই দাবি করলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
সুজন বলেন, 'আমার এক বন্ধুকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। ক্ষুধা পেয়েছিল বলে সেখানে যাই খাওয়ার জন্য। ক্যাসিনোতে শুধু কার্ড খেলা হয় না, খাবারও পাওয়া যায়। সে কারণেই ওখানে যাই।'
ছড়িয়ে পড়া ভিডিও সম্পর্কে সুজন বলেন, 'আমি জানি, আমি কেন সেখানে গিয়েছিলাম। কার্ড খেলার তো প্রশ্নই ওঠে না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিরিজ চলছে; কোচ হিসেবে আমার সমস্ত মনোযোগ সেখানে। ক্যাসিনোতে এক বাঙালি ছিলেন। তিনি আমার কাছে কার্ড চাইলে তাকে কার্ডও দিই। ব্যস, এইটুকুই। এখন এ নিয়ে যদি ফেসবুকের মতো জায়গায় আলোচনা-সমালোচনা হয়, তাতে আমার কী করার আছে?'
প্রসঙ্গতঃ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কলম্বোর জনপ্রিয় একটি জুয়ার আসর 'বেলিস ক্যাসিনো'তে একজন নারী ওয়েটারের কাছ থেকে ব্যাংকের এটিএম অথবা ক্রেডিট কার্ড ফেরত নিচ্ছেন সুজন। সেটি নিয়ে তিনি চলে যান জুয়ার টেবিলের দিকে। যেখানে আরও কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখা যায়।
সুজনের অবশ্য ক্যাসিনো প্রীতির খবর নতুন কিছু নয়। ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার এক ক্যাসিনোতে গিয়ে ফটোশিকারিদের চোখে পড়ে গিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। সেবার দলের ম্যানেজার ছিলেন তিনি। ওই ঘটনা জানাজানি হলে সুজন জুয়ার কথা অস্বীকার করে বলেছিলেন, রাতের খাবার খুঁজতে গিয়ে ভুলে ক্যাসিনোতে ঢুকে পড়েন। এবারও বললেন তেমনটাই।
এমএমআর/জেআইএম