নেতৃত্ব হারানোর ভয়েই কি এমন করলেন কোহলি?
বিশ্বকাপে তিনি ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। সবচেয়ে বেশি ধকলটা গেছে বিরাট কোহলির উপরই। বিশ্বকাপের পর বড় তারকাদের অনেকেই তাই একটি সিরিজ বিশ্রাম নিচ্ছেন। বাংলাদেশের যেমন সাকিব আল হাসান শ্রীলঙ্কা সফরে যাননি।
ভারতও বিশ্রাম দিয়েছে তাদের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। শোনা যাচ্ছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিশ্রামে থাকবেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিও।
টিম ম্যানেজম্যান্ট চেয়েছিল, কোহলি যেন এই সফরে বিশ্রামে থাকেন। কিন্তু ভারতীয় দলপতি নিজেই নাকি রাজি হননি। কিন্তু কেন?
শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই বিশ্বকাপে গিয়েছিল ভারত। সেমিফাইনালে হয় স্বপ্নভঙ্গ। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিটরা নিউজিল্যান্ডের কাছে নাকাল হয়ে ছিটকে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে।
এমন হারের পর কোহলির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে জোরেসোরেই। সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মার হাতে দায়িত্ব তুলে দেয়ার সময় এসে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াসিম জাফরের মতো ভারতের সাবেক ক্রিকেটার। এমন দাবি আরও অনেকের।
এই অবস্থায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কোহলি বিশ্রামে থাকলে রোহিতের নেতৃত্বগুণটা আরও একবার পরখ করে নিতে পারতো ভারতীয় টিম ম্যানেজম্যান্ট। কিন্তু কোহলি তাতে মোটেই রাজি হননি।
ভারতীয় অধিনায়ক বলছেন, বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর দলের খেলোয়াড়দের মানসিকতা যাতে ভেঙে না পড়ে, সেজন্যই ক্যারিবীয় সফরে দলের সঙ্গে থাকতে চান তিনি। আসলেই কি তাই?
ভারতীয় ম্যানেজম্যান্টের বিশ্বস্ত এক সূত্র জানিয়েছে, ‘তাকে (কোহলি) বিশ্রামে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি মনে করছেন এই সময়ে তার দলের সঙ্গে থাকা উচিত। খেলোয়াড়রা অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অধিনায়ক হিসেবে দলের পাশে থাকতে চান কোহলি।’
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এসেছে, কোহলি এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন একেবারে শেষ মুহূর্তে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত তিনি জানাতে পারেননি বিশ্রামে যাবেন কি না। তাই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে, নেতৃত্ব হারানোর ভয়েই কি বিশ্রাম নেয়ার ঝুঁকিতে যাননি কোহলি?
আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩টি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে এবং ২টি টেস্ট খেলবে ভারত। ৩ আগস্ট লডারহিলে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
এমএমআর/এমকেএইচ