পাকিস্তানের বড় সমস্যা জানালেন ওয়াকার
পাকিস্তান ক্রিকেট দলে সবসময় যেনো অন্তর্কলহ লেগেই থাকে। কখনো দলের খেলোয়াড়রা, আবার কখনো সাবেক সিনিয়র ক্রিকেটাররা নানান অভিযোগ করে থাকেন ক্রিকেটারদের ব্যাপারে। এবার তেমনই এক অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক ওয়াকার ইউনুস।
তবে ওয়াকারের যে মন্তব্য, সেটিকে অভিযোগের চেয়ে পাকিস্তানের বড় এক সমস্যা বলাই শ্রেয়। কারণ তার মতে ফর্ম হারিয়ে গেলেও, দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা খেলা ছাড়তে চায় না। অযথাই নিজেদের ক্যারিয়ার লম্বা করে তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দেয় না।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের আশানুরূপ ফলাফল না পাওয়ার ব্যাখ্যায় ওয়াকার বলেন, ‘একদম শেষমুহূর্ত পর্যন্তও আমাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঠিক ছিল না। দলের বড় একটা সমস্যা হলো সিনিয়র খেলোয়াড়রা অযথাই নিজেদের ক্যারিয়ার টেনে নিয়ে যায় এবং তাদের থামতে বলার মতোও কেউ নেই। গত কয়েক বছর ধরে একই চিত্র দেখছি। যেকোনো টুর্নামেন্টের আগে সিনিয়রদের ডেকে আনা হয়। কারণ টিম ম্যানেজম্যান্ট হেরে যাওয়াকে ভয় পায়।’
স্থানীয় পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারটিতে তিনি আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের জয় পেতে যতোটা কষ্ট করতে হয়েছে, তা হওয়া উচিৎ ছিল না। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমরা দল নির্বাচনের সময় ফিটনেস ইস্যু, সিনিয়রিটি- এসব বিষয়গুলোকে যথাযথ গুরুত্ব দেই না।’
বর্তমান কোচ মিকি আর্থার দায়িত্ব নেয়ার আগে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওয়াকারই ছিলেন পাকিস্তানের হেড কোচ। এবার আর্থারের দায়িত্ব পালনের আড়াই বছরের মাঝেই প্রশ্ন উঠল তার ব্যাপারেও। ফিটনেসকে গুরুত্ব না দেয়ার কঠিন অভিযোগ আনা হয় আর্থারের বিপক্ষে। তবে ওয়াকারকে যেন পাশেই পেলেন তিনি।
ওয়াকার বলেন, ‘প্রতিবার বিশ্বকাপ শেষে আমরা একই চিত্র দেখি। যেখানে শুধু চরিত্রগুলো বদলায়। অথচ সামনের দিকে যেতে হলে আমাদের আগে বের করতে হবে যে কোথায় ভুল হচ্ছে। প্রতি চার বছরে আমরা একই অজুহাত দেই। অধিনায়ক বদলাই, কোচকে বিদায়, প্রধান নির্বাচককে সরিয়ে দেই, ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করি- এগুলোই বারবার ঘুরে ফিরে আসে।’
এসএএস/জেআইএম