‘ওভারথ্রো’ এর নিয়মই জানত না নিউজিল্যান্ড!
আম্পায়ারের এক ভুলের কারণে শিরোপার এতো কাছে এসেও শেষপর্যন্ত খালি হাতেই দেশে ফিরেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। যেই এক রান দূরে থেকে তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি সেই এক রানের ব্যবধানেই ট্রফি নিজেদের ঘরে নিতে পারত তারা। ফলে ফাইনাল ম্যাচ গড়াত না সুপার ওভারও।
নাটকীয়তাপূর্ণ সেই ম্যাচের শেষ ৩ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান। তখন শেষ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের করা চতুর্থ বলটি মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে এক রান নেন বাঁহাতি ইংলিশ ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস। ব্যবধান কমানোর জন্য ওই বলে দুই রান নিতে দৌড় দিলেন স্টোকস আর আদিল রশিদ। তখন একেবারে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করছিলেন মার্টিন গাপটিল। রান আউট করার জন্য তিনি যে থ্রো করেন, স্ট্যাম্পে আঘাত না হেনে লাগে স্টোকসের ব্যাটে। সেখান থেকে বল চলে যায় বাউন্ডারি বাইরে।
আইসিসির নিয়ম অনু্যায়ী সেই বলে ৫ রান হওয়ার কথা থাকলেও, সেখানে ভুলে ৬ রানের নির্দেশ দেন অনফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে শুরু হয় অনেক তর্ক-বিতর্ক। এমন এক ম্যাচে কিভাবে এই ভুল করতে পারেন আম্পায়াররা সেটা নিয়ে উঠে প্রশ্ন।
ম্যাচের এই ভুলটা চোখে আঙুল দিয়ে ধরিয়ে দেন আইসিসির সাবেক বর্ষসেরা আম্পায়ার সাইমন টফেল। তার মতে, স্টোকসের দ্বিতীয় রান নেওয়ার আগেই গাপটিলের থ্রো করে ফেলায় ওই বলে ইংল্যান্ডের পাওয়ার কথা ছিলো পাঁচ রান, স্টোকসেরও তাহলে থাকতে হতো ননস্ট্রাইকে।
অথচ এমন একটা নিয়মের কথা জানতই না নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। এমনটাই বললেন দলটির অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তিনি বলেন, ‘সত্যিই বলতে ওই সময়ে এই নিয়ম সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। অবশ্যই আম্পায়াররা যে কাজ করেন সেটাতে আপনার পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে।'
এই নিয়ম সম্পর্কে অবগত ছিলেন না দলটির ব্যাটিং কোচ ক্রেইগ ম্যাকমিলানও। তিনি বলেন, ‘সত্যি করতে বলতে আমি ওই নিয়ম সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। ক্রিকেটের অনেক ম্যাচ আমি খেলেছি এবং দেখেছি। ওভারথ্রোর সেই রানটাই যোগ করা হয়, যেই রানটা থ্রো করার আগে নিয়ে থাকে ব্যাটসম্যান।’
তবে এ বিষয়টিকে বড় করে দেখতে রাজি নন কিউই কোচ। তার মতে আম্পায়ারদের এমন ভুল হতেই পারে। স্টিড বলেন, ‘আমি নিজেও এ ব্যাপারটি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতাম না। দিন শেষে আম্পায়াররাই খেলা পরিচালনা করবেন। খেলোয়াড়দের মতো তারাও মানুষ, যাদের মাঝেমধ্যে ভুল হয়েই যায়। এটাই খেলাধুলার মানবিক দিক।’
এএইচএস/এসএএস/এমএস