গাপটিলের থ্রো’য়ের পরও কেন নির্বাক ছিলেন মরগ্যান?
আগে ও পরে অনেক কথা হচ্ছে, হবেও। আগামী চার বছর ধরে চলবে ১৪ জুলাই ফাইনালের পোস্টমর্টেম। কী হলে কী হতে পারতো, পারতো না; ইত্যাদি, ইত্যাদি। এদিকে সব বড়-বড় ক্রিকেট বোদ্ধা আর বিশেষজ্ঞরা এখন এক বাক্যে স্বীকার করছেন যে, নিউজিল্যান্ড ওপেনার মার্টিন গাপটিলের থ্রো থেকে পাওয়া চারটি বোনাস রানই জিতিয়েছে ইংল্যান্ডকে। ওই চার রানই রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।
তবে অনেকেই হয়তো জানে না বা চোখে পড়েনি, সুপার ওভারে সৌভাগ্যক্রমে পাওয়া ওই চার রানের পর বিস্ময়করভাবে নীরব ছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগ্যান! কেন? ঠিক কী কারণে তার সেই নীরবতা?
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাৎক্ষণিক অনুভূতি পর্বে বিজয়ী দলের অধিনায়ক হিসেবে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। অথচ টিভির পর্দায় সারা বিশ্ব দেখেছে মার্টিন গাপটিলের থ্রো যখন বেন স্টোকসের ব্যাট ছুঁয়ে কিউই কিপার ল্যাথামকে কে ফাঁকি দিয়ে ফাইন লেগ সীমানার ওপারে চলে গেল লর্ডসে তখন আনন্দের বন্যা। এমনকি ইংলিশ টিমের ব্যালকোনিতেও অন্যরকম উল্লাস।
যে বলে দুই রানের বেশি হওয়ার কথা ছিল না, সেখানে আসলো ছয় রান। এরপর ম্যাচ গেল সুপার ওভারে। কিন্তু লর্ডসের ঐতিহ্যবাহি ব্যালকনিতে নির্বাক তখন দাঁড়িয়ে মরগ্যান। সে অভিব্যক্তিও তাৎক্ষণিকভাবে নজরে এসেছে অনেকের।
তো সেই আনন্দের আর সুখের সময়ে ইংলিশ ক্যাপ্টেন কেন অমন নীরব ছিলেন? কেন সেই নিরবতা? কি এমন হয়েছিল? কাল অনেক রাতে (বাংলাদেশে তখন প্রায় ভোর তিনটা) প্রেস কনফারেন্সে এই প্রশ্ন উঠলো। এক ইংলিশ সাংবাদিক বেশ রসিয়ে-রসিয়ে জানতে চাইলেন, ইয়ান (ইংরেজরা নামের প্রথম অংশেই ডাকেন) আচ্ছা ইনিংসের শেষ ওভারে গাপটিলের থ্রো যখন সীমানার ওপারে চলে গেল তখন আপনি একদম নির্বাক ছিলেন। হৈ-হুল্লোড় করা বহুদূরে একটি শব্দও বের হয়নি আপনার মুখ থেকে। দেখলাম লর্ডসের ব্যালকোনিতে আপনাকে একদম চুপচাপ। কোনো অভিব্যক্তি প্রকাশ করেননি। কেন আপনার কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না? একটু ভেঙ্গে বলবেন?
মরগ্যানের জবাব ছিল, ‘কি আর বলবো! একের পর এক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটছিল। আমি আসলে ঠিক বুঝে উঠে পারছিলাম না কী ঘটছে। আর কী হতে যাচ্ছে। দেখলাম গাপটিলের থ্রো আসতে দেখে বেন স্টোক্স রান আউটের হাত থেকে বাঁচতে শরীর মাটিতে ফেলে দিল। আর বল চলে গেল সীমানার ওপারে।
উল্লাস না করা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি সে মুহুর্তে উল্লাসে ফেটে পড়িনি কারণ আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না কী হতে যাচ্ছে। তখন আনন্দ-উল্লাস করার চেয়ে পরিস্থিতিটা খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণের চিন্তায় ছিলাম।’
এআরবি/এসএস/জেআইএম