একবার ক্রিকেটার, দুইবার আম্পায়ার- তিন ফাইনালে ধর্মসেনা
বিশ্বকাপ জিতেছেন সেই ১৯৯৬ সালে। ১৯ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে নেমেছিলেন কুমার ধর্মসেনা। তার ৪ বছরের মাথায়ই আবারো আরো একটি বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে নামলেন তিনি। যেটি তার তৃতীয় ফাইনাল। প্রথমবার ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে নামলেও পরের দুইবার মাঠে নেমেছেন আম্পায়ার হিসেবে।
এবারের বিশ্বকাপে যে ক’জন আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি অফিসিয়াল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার কুমার ধর্মসেনা একটু ব্যতিক্রম। আর কারও সাথে তার মিল নেই। সত্যিই এক বিরল কৃতিত্বের অধিকারী তিনি। যা আর কারো নেই। ক্রিকেটার হিসেবে তিনি জিতেছেন বিশ্বকাপ। আম্পায়ার হিসেবে এ নিয়ে দুটি বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন করছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক এই অফ স্পিনার এবং বর্তমানে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার।
আজ (রোববার) লর্ডসে ইংল্যান্ড- নিউজিল্যান্ড ফাইনালেও সাবেক এই শ্রীলংকান ক্রিকেটার দায়িত্ব পালন করছেন আম্পায়ার হিসেবে। প্রথমবার তিনি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, আর বাকী দুইবার মাঠে আছেন আইসিসির প্রতিনিধি হিসেবে। ১৯৯৬ সালে লাহোরের কায়েদ-ই আজম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেশের হয়ে তিনি জিতেছেন বিশ্বকাপ। ।
১৯৯৬ সালে শ্রীলংকার বিশ্বকাপ জয়ে ভূমিকা ছিলো ধর্মসেনারও। ছিলেন অফ স্পিনার। লাহোরের ওই ফাইনালে ১০ ওভার বল করে ৪৭ রান দিয়ে তিনি পেয়েছিলেন স্টিভ ওয়াহর গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
২০০৬ সালে খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার শেষ করার পর নাম লেখান আম্পায়ারিংয়ে। এরপর কেবলই এগিয়ে চলা তার। ২০১২ সালে হয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার। জিতেছেন ডেভিড শেপার্ড ট্রপি। ২০১১ বিশ্বকাপেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে ২০জন আম্পায়ারের অন্তর্ভূক্ত হন এবং মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ফাইনালে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও দায়িত্ব পালন করেন ধর্মসেনা। গত বছরও (২০১৮ সালের) আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার জেতেন তিনি। পেয়েছেন ডেভিড শেপার্ড ট্রপি। এবারও ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ১৬জন আম্পায়ারের অন্যতম হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ধর্মসেনা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচেও আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
চার বছর পর এবারও লর্ডসের আজকের ফাইনালে মাঠে মূল আম্পায়ারের দায়িত্বে আছেন ধর্মসেনা। নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে রয়েছেন মরিস ইরাসমাস।
এমএইচবি/এমকেএইচ