ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

১৭ লাখ টাকায় মিলছে বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৯

আপনি ক্রিকেটের অনেক বড় ভক্ত। প্রিয় দল পৌঁছে গেছে বিশ্বকাপের ফাইনালেও। সেই ফাইনালে মাঠে বসে প্রিয় দলকে সমর্থন দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই হয়তো থাকবে আপনার; কিন্তু ওই ম্যাচের টিকিটের মূল্য যদি হয় ১৭ লাখ টাকা, তাহলে?

নিশ্চয়ই তখন আপনাকে ভাবনায় পড়তে হবে। এটা কোনো গাল-গল্প নয়, সত্যিই লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে টিকিটের মূল্য এখন এমনই আকাশছোঁয়া। যার পরিমাণ শুনলেও যে কেউ আঁতকে উঠবে।

রোববার ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে হলে ভক্ত-সমর্থকদের খরচ করতে হবে ১৬ হাজার পাউন্ড (প্রায় ১৭ লাখ টাকা)।

বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে আগেই। কিন্তু ফাইনালের আগে এখন সেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে কালোবাজারে। এমনকি কোনো কোনো টিকিট তো কয়েকবার হাত বদল হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। এখন আবার তা পুনরায় বিক্রি চলছে। যদিও অপরিচিত জায়গা কিংবা অপরিচিত ব্যক্তি থেকে টিকিট সংগ্রহে এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আইসিসি। এমনকি আইসিসি এও বলে দিয়েছে, কালোবাজারি প্রমাণ হলে, সংশ্লিষ্ট টিকিট বাতিলও করে দিতে পারে তারা। কিন্তু কালোবাজারে টিকিট বিক্রি তাতে কি আর বন্ধ হবে?

আইসিসি নির্ধারিত একটি ওয়েবসাইট থেকে গত শুক্রবার লর্ডসের কম্পটন স্ট্যান্ডের দুটি টিকিট বিক্রি হয়, প্রতিটি ২০ হাজার ৭৭৬ ডলারে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৭ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬৪৩। টিকিটের প্রকৃত মূল্য ছিল ২৯৫ পাউন্ড। যা শেষ পর্যন্ত ৫০ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার পাউন্ডেরও বেশি। অন্য একটি স্ট্যান্ডের টিকিটও বিক্রি হচ্ছে ৩৭০০ থেকে ৫০০০ ডলারে। টাকার হিসেবে যা, ৩ থেকে ৪ লক্ষ পর্যন্ত।

টিকিটের কালোবাজারির বিষয়ে আইসিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্টিভ এলওয়ারথি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতি ও ক্রিকেটে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য পুরো বিশ্বের সত্যিকারের ক্রিকেটপ্রেমীদের টিকিট দেওয়ার চেষ্টা করছি। সাশ্রয়ী মূ্ল্য ও ন্যায্যভাবে টিকিট দেওয়াটা এই টুর্নামেন্টে আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক যে, বিভিন্ন অবৈধ সাইট থেকে বেশি দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আমরা এটা দমন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি; কিন্তু সুনির্দিষ্ট আইনের অভাবে আমরা এ ব্যপারে ঠিকমতো ব্যবস্থা নিতে পারছি না।’

এমএইচবি/আইএইচএস/এমকেএইচ

আরও পড়ুন