নকআউটে স্মিথ হাফ সেঞ্চুরি করলে হারে না অস্ট্রেলিয়া!
ভারতকে হারিয়ে আসরের প্রথম দল হিসেবে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। ঐতিহাসিক লর্ডসে তাদের সঙ্গী হতে আজ (বৃহস্পতিবার) লড়ছে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। এজবাস্টনে ফাইনালে যাওয়ার এই লড়াইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের সামনে ২২৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে অসিরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর থেকেই ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে অসি ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ১৪ রানের মধ্যেই তাদের ৩ উইকেট তুলে নেন ইংল্যান্ড পেসার ক্রিস ওকস এবং জোফরা আর্চার। ফলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
তবে ১০৩ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলের বিপদ কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন দুই অসি ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ ও অ্যালেক্স ক্যারে। কিন্তু অর্ধশতক পূরণ করার আগেই বিদায় নিতে হয় ক্যারেকে। একই ওভারে মার্কাস স্টইনিস আউট হলে আবারো বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
তবে এর মাঝেই নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন স্মিথ। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে নকআউট পর্বের টানা চার ম্যাচে ফিফটি করার কৃতিত্ব দেখালেন এই অসি ব্যাটসম্যান। দল বিপর্যয়ে থাকলেও স্মিথের এই অর্ধশতক ঠিকই সুসংবাদের বাতাস দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। কেননা নক আউটে স্মিথের ফিফটি করা প্রতিটি ম্যাচেই একবারো হারের মুখ দেখেনি অসিরা, সবগুলোই জিতে নিয়েছে।
২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৫ রান করে টানা ফিফটির ধারা শুরু করেন স্মিথ। ওই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেট হারায় অসিরা। একই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে স্মিথের করা ১০৫ রানের কল্যাণেই ৯৫ রানের বড় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। এবং ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৫৬ রান করে দলকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন এই ব্যাটসম্যান।
সে ধারা অনুযায়ী আজও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মত অর্ধশতক তুলে নেন স্মিথ। শেষ পর্যন্ত তিনি আউট হন ৮৫ রানে। তবে কি আজও জয় পেতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া? কিন্তু এ ক্ষেত্রে অতিবড় অসি সমর্থকও আশাবাদী হতে পারছেন না। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার পুঁজি যে খুবই কম! মাত্র ২২৩ রান!
এএইচএস/আইএইচএস/এমকেএইচ