চাচার জোরে নয়, আল্লাহ্র ইচ্ছায় খেলছি : ইমাম
জাতীয় দলে খেলছেন ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে। টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে না পারলেও, ওয়ানডে ক্রিকেটে বেশ সফল পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনার ইমাম উল হক। এখনও পর্যন্ত ৩৬ ওয়ানডে খেলে রান করেছেন প্রায় ৫৫ গড়ে।
অথচ বছর দেড়েক আগে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর থেকেই একটি সাধারণ বাক্য শুনতে হয় তাকে। সেটি হলো, চাচা ইনজামাম উল হকের ক্ষমতার জোরেই জাতীয় দলে খেলতে পারছেন ইমাম। এ কথার পেছনে নিন্দুকদের যুক্তি একটাই- পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম এখন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক। আর নিজের এ ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে স্বজনপ্রীতি দেখিয়েই ভাতিজা ইমামকে দলে নিয়েছেন ইনজামাম।
বিশেষ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০১৬ সালের পর থেকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত পাকিস্তানের সামগ্রিক পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হককে পরবর্তীতে আরও দায়িত্ব দেয়া হবে নাকি এখনই বিদায় জানানো হবে।
পিসিবির এ সিদ্ধান্তের জেরে অনেকেই ইমামকে উদ্দেশ্য করে ফোঁড়ন কাটছেন যে, ইনজামামের চাকরি গেলে আর জাতীয় দলে খেলা হবে না। তবে এসবকে পাত্তা দেন ইমাম। বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরে তিনি বলেন, ‘মানুষ আমার সঙ্গে তার (ইনজামাম) সম্পর্কের ব্যাপারে কী বলে বেড়ায় সেসব আমি পাত্তা দেই না।’
২০১৭ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া ইমামের চলতি বিশ্বকাপটা খুব একটা ভালো কাটেনি। ১টি করে সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরিতে ৮ ইনিংসে করেছেন মাত্র ৩০৫ রান, স্ট্রাইক রেট ছিলো ৭৬.২৫। তবে পুরো ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫৪ গড়ে করেছেন ১৬৯২ রান, ৬টি ফিফটির পাশে রয়েছে ৭টি সেঞ্চুরি!
তাই তার ব্যাপারে, ইনজামামের ব্যাপারে হওয়া সমালোচনাকে পাত্তা দিতে রাজি নন ইমাম এবং দাবী করেন চাচার জোরে নয়, আল্লাহ্র ইচ্ছাতেই পাকিস্তানের জাতীয় দলের খেলেন তিনি।
ইমাম বলেন, ‘এ বিষয়টা আপনারা, মিডিয়াতেই বেশি বলাবলি হয়। আমাদের সাধারণ জনগণ খুবই নিরীহ। তাদের যা বলা হয়, যা দেখানো হয় তাই বিশ্বাস করে। আমি আল্লাহ্কে বিশ্বাস করি। আমি খেলছি কারণ আল্লাহ্ ঠিক করে রেখেছেন আমি জাতীয় দলে খেলব। তবে এসব সমালোচনা আমাকে আরও শক্ত হতে সাহায্য করেছে। আমি এসবে ব্যথিত হলেও, ইতিবাচকভাবে নেয়ার চেষ্টা করি।’
এসময় বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে না পারলেও, বিশ্বকাপ যাত্রাকে সফল হিসেবেই উল্লেখ করেন পাকিস্তানি ওপেনার, ‘আমরা অভিজ্ঞতা থেকেই শিখব। আমি বলবো আমরা সফলই ছিলাম। নয় ম্যাচের মধ্যে ৫টাই জিতেছি এবং সেমি খেলতে পারিনি নেট রানরেটের কারণে। আমাদের ফ্যানদের মতো আমরাও খুব হতাশ।’
এসএএস