সাকিবসহ ৪ ক্রিকেটারকে প্রশংসায় ভাসালেন মাশরাফি
অসাধারণ, অনন্য, অবিশ্বাস্য- কোনো বিশেষণেই যেন বাঁধা যায় না এবারের বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্সকে। ব্যাটিং, বোলিং অথবা ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচটার পর ছিলেন রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে। তবুও আসর শেষে বাংলাদেশ দলের অবস্থানটা অষ্টম। ৮ ইনিংস মাঠে নেমে ৬০৬ রানের পাশাপাশি আছে সাকিবের আছে ১১ উইকেট।
সাকিবের পাশাপাশি দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ধারবাহিকতা যেটুকু ছিলো সেটা মুশফিকুর রহিম ও মোস্তাফিজুর রহমানের। ৮ ইনিংসে মুশফিকুর রহিম এক সেঞ্চুরিসহ করছেন ৩৬৭ রান।
অন্যদিকে ২০ উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান নিজের শেষপর্যন্ত ছিলেন উইকেট শিকারীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। তরুণ সাইফউদ্দিনও খুব একটা খারাপ করেননি। ৮ ইনিংসে ১৩ উইকেটের সঙ্গে এক ফিফটিতে করেছেন ৮৭ রান।
এই চারজনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আগেও যেটা বললাম, সাকিব অসাধারণ। সাকিব, মোস্তাফিজ, মুশফিক, সাইফউদ্দিন অসাধারণ খেলেছে। আর যারা ছিল ইন অ্যান্ড আউট করেছে কিন্তু ওই চার জন ছিল অসাধারণ।’
মাশরাফি আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা একটু আগেও দিয়েছি, যেটা হয়েছে যে প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। কিন্তু খেলার ধরন বা পজিটিভনেস আছে সেরকম অনেক কিছু আছে। সেটা হয়নি।’
দলের পারফরম্যান্সের জন্য তরুণদের দোষ দিতে রাজী নন টাইগার অধিনায়ক। বরং তাদের জন্য ঢাল হয়েই দাঁড়ালেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘দেখেন প্রথমত তরুণদের সবসময় একতরফা দোষ দেওয়া হয়। আজকের সিনিয়ররা একসময় তরুণ ছিল, এতোটা ধারাবাহিক ছিল না।’
‘আজকের তরুণরা যতটা ধারাবাহিক খেলছে। এতো বেশি চাপের মধ্যে ক্রিকেট খেলছে যেটা আমরা যখন তরুণ ছিলাম আমাদের নিতে হয়নি। তরুণদের একতরফা দোষ দিয়ে লাভ নেই। তারাও অনেক চেষ্টা করেছে। এই মঞ্চ অনেক বড়। এখানে আসলে এত সহজ না। আমি আশা করি, আজকের সাকিব-মুশফিক-তামিম-রিয়াদ যে অবস্থানে আছে তারাও সেখানে যাবে’- আরও বলেন টাইগার অধিনায়ক।
এমএইচবি/এসএএস/এমএস