স্মরণীয় বিশ্বকাপের যে ইনিংসটি বেশি পছন্দ সাকিবের
বিশ্বকাপ শুরুর আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ছন্দে থাকার। যার চূড়ান্ত প্রদর্শনী তিনি দেখিয়েছিলেন ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে। বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে জীবনের সেরা পারফরম্যান্সই করেছেন বাংলাদেশ দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ক্রিকেট ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬০০ রান করেছেন এক আসরে। ভাগ বসিয়েছেন শচিন টেন্ডুলকারের এক বিশ্বকাপে গড়া ৭টি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংসেও। বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও, খেলোয়াড় হিসেবে পুরোপুরি সফল ছিলেন সাকিব।
তবে নিজের রেকর্ড নিয়ে ভাবার অবকাশটাও যেন নেই টাইগার সহ-অধিনায়কের। দলের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেটি না হওয়ায়। খানিক হতাশ সাকিব।
আজ (শনিবার) টিম হোটেল ছাড়ার আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিশ্বকাপের ব্যাপারে বিশদ আলোচনা করেছেন সাকিব। যেখানে নিজের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘এটা নিয়ে সেভাবে চিন্তা করি না। অবশ্যই সেমিফাইনালে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আমাদের ছিল। তবে সেসব নিয়ে তো আমি কখনোই চিন্তা করি না। রেকর্ড-টেকর্ড নিয়ে খেলার মানুষ আমি না।’
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব খেলেছেন ৯৫ রানের ইনিংস আর শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে করেছেন ৬৪ রান। মাঝে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১ রানে আউট হয়েছেন। এছাড়া বাকী সব ম্যাচেই খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস।
এর মধ্যে রয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১২১ রান এবং তার পরের ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী সেঞ্চুরিতে ১২৪ রান। তবে সেঞ্চুরি না পেলেও, সাকিবের কাছে সবচেয়ে কঠিন ছিলো আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা ৫১ রানের ইনিংসটি।
যদিও নিজের পছন্দের ইনিংসের কথা বলতে গিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির কথাই উল্লেখ করেছেন তিনি। সাকিব বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে রান করতে সবচেয়ে কষ্ট করতে হয়েছে। ওদের যে ধরনের কোয়ালিটি স্পিনার ছিল ও যে ধরনের উইকেটে খেলেছি, সেটিই মূল কারণ। খুব পছন্দের ইনিংস বলতে হয়, তাহলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস। সবকটিই তো ভালো লাগার, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসটি পছন্দের।’
এদিকে টানা খেলার কারণে শেষদিকে মানসিক অবসাদ চেপে বসেছিল সাকিবেরও, ‘শেষের দুটি ম্যাচে মানসিকভাবে ক্লান্ত মনে হয়েছে নিজের কাছে। তারপরও ফিটনেস লেভেল ভালো ছিল বলে আমাকে সাহায্য করেছে। হয়তো মাঝখানে দু-একটি দিন ফিটনেস নিয়ে কাজ করলে আরেকটু ভালো হতো। কিন্তু তাতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সুযোগও ছিল। দুইটিকে ব্যালান্স করতে পারা কঠিন ছিল। সেদিক থেকে শেষ দুটি ম্যাচ একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
এআরবি/এসএএস