লঙ্কান তোপ সামলে লড়াই করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজও
৩৩৯ রানের বিশাল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারানোতে মনে হচ্ছিল আজ বুঝি লঙ্কানদের সামনে দাঁড়াতেই পারবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২২ রানে দুই উইকেট এবং ৮৪ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর এমন ভাবাটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু ক্রিকেট তো গৌরবময় অনিশ্চয়তারই খেলা। মিডল অর্ডারে নিকোলাস পুরানের ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত দারুণ লড়াই করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও হেরে গেছে তারা। তবে ব্যবধানটা মাত্র ২৩ রানের।
শ্রীলঙ্কার করার ৩৩৮ রানের জবাবে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান করতে সক্ষম হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১১৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন পুরান। ফ্যাবিয়েন অ্যালেন খেলেন ৫১ রানের ইনিংস।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের। টস জিতে শ্রীলঙ্কাকেই ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই ছিল দুর্দান্ত লঙ্কানদের। ৯৩ রানের জুটি গড়ে বিদায় নিয়েছিলেন করুনারত্নে। তিনি করেন ৩২ রান। এরপর ৬৪ রান করে আউট হন কুশল পেরেরা।
সেঞ্চুরি করে বসেন অভিষেক ফার্নান্দো। এটা ছিল আবার তার অভিষেক সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ১২ রানেই সুনিল আমব্রিসকে হারিয়ে ক্যারিবীয়দের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেন লাসিথ মালিঙ্গা। এরপর সাই হোপের উইকেটও তুলে নেন তিনি। দলীয় ৭১ রানের মাথায় ক্রিস গেইলের উইকেট তুলে নেন কাসুন রাজিথা। ৪৮ বল খেলে ৩৫ রান করেন ক্রিস গেইল।
এরপর দলীয় ৮৪ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হন শিমরন হেটমায়ার। এরপরই ক্যারিবীয়দের ইনিংসের হাল ধরেন নিকোলাস পুরান। ১০৩ বল খেলে ১১৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
পুরানের সঙ্গে ২৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন জেসন হোল্ডার। কার্লোস ব্র্যাথওয়েট রানআউট হন ৮ রানে। এরপর ফ্যাবিয়েন অ্যালেনকে নিয়ে ৮৩ রানের জুটি গড়েন নিকোলাস পুরান। ৩২ বলে ৫১ রান করেন ফ্যাবিয়েন অ্যালেন। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। অ্যালেনের পর আউট হয়ে যান নিকোলাস পুরানও। তিনি আউট হতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়।
লাসিথ মালিঙ্গা নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন কাসুন রাজিথা, জেফ্রি ভ্যান্ডারসি এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ।
আইএইচএস/