বিশ্বকাপে দৌড়ে কত রান নিয়েছেন সাকিব?
বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড সিরিজে সাকিব আল হাসানকে দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। শরীরের গঠন দেখে কোনো ভাবেই তার বয়স ৩২ বছর মনে হচ্ছিল না। মনে হচ্ছে যেন, ২০০৭ বিশ্বকাপে খেলা সেই তরুন সাকিব আবারো খেলতে নেমেছেন বাংলাদেশের হয়ে।
আইপিএলের সর্বশেষ আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলতে গেলেও খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি সাকিব। তবে সুযোগ না পেলেও বসে থাকেননি এই অলরাউন্ডার। কাজ করে গেছেন নিজের ফিটনেস নিয়ে। পাঁচ থেকে ছয় কেজি ওজন কমিয়ে দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ ক্যাম্পে যোগ দেন তিনি।
সাকিবের ওজন কমানো এবং তার দুর্দান্ত ফিটনেসের ফল খুব ভালোভাবেই পাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে দুই দিক থেকেই সমানভাবে টাইগারদের হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ছয় ম্যাচে ৪৭৬ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন তিনি। এছাড়াও সমান ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট।
সাকিবের করা ৪৭৬ রানের মধ্যেই ২৭২ রানই এসেছে সিঙ্গেল, ডাবলস ও ট্রিপলের মাধ্যমে। অর্থ্যা, ২২ গজের ক্রিজে দৌড়েই ২৭২ রান নিয়েছেন সাকিব। এ জন্য প্রায় ৫.৪৭ কিলোমিটার দৌড়াতে হয়েছে তাকে।
সাকিবের আগে দৌড়ে সবচেয়ে বেশি (সিঙ্গেলস, ডাবলস) রান নিয়েছেন মাত্র একজন ক্রিকেটার। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ৭ ম্যাচে করা ৫০০ রানের মধ্যে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি ছাড়া ২৮০ রানই তিনি নিয়েছেন ২২ গজের ক্রিজে দৌড়ে। এ জন্য ওয়ার্নারকে দৌড়াতে হয়েছে ৫.৬৩ কিলোমিটার।
এছাড়াও দৌড়ে ২১৫ রান নিয়ে এই তালিকার ৪র্থ স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের আরেক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। এ জন্য তাকে প্রায় ৪.৩২ কিলোমিটার দৌড়াতে হয়েছে।
ওয়ার্নারের পরে সবচেয়ে বেশি সিঙ্গেল ডাবলস নেয়া ব্যাটসম্যানরা হলেন- ইংল্যান্ডের জো রুট ও বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান (২৭২ রান), নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন (২৫০ রান), বাংলাদেশের মুশফিকুর রহীম (২১৫ রান) এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যারোন ফিঞ্চ (২০৪ রান)।
এএইচএস/আইএইচএস/এমকেএইচ