সাকিব-মাশরাফির মুখে সমর্থকদের প্রশংসা : যেন নিজের মাঠেই খেলছি
সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে বিশ্বকাপ। দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে খেলতে হচ্ছে মাসখানেক ধরে। আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ ধরলে সময়কাল বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় মাসদুয়েকে।
কিন্তু এতো লম্বা সময়ে মাঝেও ঘরের মাঠের মতো সমর্থনের কমতি হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য। আয়ারল্যান্ডে তুলনামূলক কম হলেও, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই স্টেডিয়ামে দেখা মিলছে বাঙালি সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়।
লন্ডনের কেনিংটন ওভাল কিংবা ওয়েলসের কার্ডিফ অথবা নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজ ঘুরে সাউদাম্পটনের রোজ বোল- সবগুলো মাঠে একটি চিত্র অভিন্ন। তা হলো লাল সবুজের স্লোগান নিয়ে মাশরাফি-সাকিবদের সমর্থন দিয়ে যাওয়া দর্শকদের উপস্থিতি।
এখনও পর্যন্ত যে কয়টি শহরেই খেলেছে বাংলাদেশ, সবখানেই দেখা মিলেছে প্রবাসী কিংবা দেশ থেকে যাওয়া বাংলাদেশি সমর্থকদের ভিড়। সব মাঠেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ স্লোগানে মুখরিত করে রেখেছিলেন সমর্থকরা।
যার ব্যতিক্রম হয়নি সাউদাম্পটনের রোজ বোলেও। সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ৬২ রানের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচ জুড়েই গলা ফাটিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি সমর্থকেরা। তাই ম্যাচ শেষে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি টাইগারদের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক।
ব্যাট হাতে ৫১ রান ও বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া সাকিব আল হাসান সমর্থকদের প্রশংসা করে বলেন, ‘পুরো বিশ্বকাপজুড়েই তাদের সমর্থন অসাধারণ। এটার কোনো তুলনা হয় না। মনেই হয় না বাইরে খেলছি। তারা একদম প্রথম ম্যাচ থেকেই আমাদের সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। আমরাও জয় দিয়েই বিশ্বকাপ শুরু করেছিলাম। তারপর থেকে সমর্থনের কমতি হয়নি। আশা করি বাকি থাকা ম্যাচগুলোতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
সাকিবের পর প্রায় একই কথা উচ্চারিত হয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কন্ঠেও। তিনি বলেন, ‘দর্শকদের উপস্থিতিটা আমাদের জন্য দারুণ ছিলো। এটা সবসময়ই বাড়তি অনুপ্রেরণা দেয়। মাঠের মধ্যে যে আবহটা তারা সৃষ্টি করেছিল, তার কোনো তুলনা হয় না।’
এসএএস