বাংলাদেশের তিন জয়েই ম্যাচ সেরা সাকিব
বাংলাদেশের তো নয়ই, অন্য কোনো দেশের হয়েও এক বিশ্বকাপে তিনবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা ক্রিকেটারের সংখ্যা খুব কম। এই তালিকায় ৮ম ক্রিকেটার হিসেবে নাম লেখালেন সাকিব আল হাসান। তবে একটি ক্ষেত্রে নিশ্চিত সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবেন সাকিব। নিজের দল যে ক’টি ম্যাচ জিতেছে, সব কটিতেই নির্দিষ্ট একজন মাত্র ক্রিকেটার ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাচ্ছেন, এমনটা নেই আর। সাকিবই সেখানে একমাত্র ক্রিকেটার।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছে কেবল তিনটি এবং তিনটিতেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠলো সাকিব আল হাসানের হাতে।
আজ তো হ্যাম্পশায়ারের রোজ বোলে একক সাকিব শো চলেছে। আফগানরা একা সাকিবের হাতেই ধুমড়ে-মুচড়ে গেছে। যে আফগানিস্তান বাংলাদেশকে নিয়ে ডুবতে চেয়েছিল, তারাই কি না একা একা ডুবে মরলো। বাংলাদেশের টিকিটিও ছুঁতে পারলো না। সে কেবল সাকিব আল হাসানের একক কৃতিত্বে।
ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই তাই ম্যাচ সেরা কে হচ্ছেন, তা চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া সম্ভব হয়েছিল। ব্যাট হাতে ৫১ রান করার পর বল হাতে একাই ধ্বস নামান সাকিব। ১০ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।
নিজেদের প্রথম জয়ের দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫ রান করেছিলেন সাকিব। উইকেট নিয়েছিলেন ১টি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান তিনি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের দিনে করেছিলেন অপরাজিত ১২৪ রান। উইকেট দুটি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার বেছে নিতে আর কারো কথা দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হয়নি। আজও একই অবস্থা। সাকিব হলেন ম্যাচ সেরা।
ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক টুর্নামেন্টে চারবার করে ম্যাচ সেরা হওয়ার রেকর্ড আছে তিনটি। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অরবিন্দ ডি সিলভা জিতেছিলেন চারটি ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনারও চারবার ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের যুবরাজ সিং চারবার হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।
তিনবার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন চারজন। শচিন টেন্ডুলকার, ২০০৩ বিশ্বকাপে, স্যার ভিভ রিচার্ডস, ১৯৮৭ বিশ্বকাপে, অস্ট্রেলিয়ার মার্ক ওয়াহ ১৯৯৬ বিশ্বকাপে এবং গ্লেন ম্যাকগ্রা ২০০৭ বিশ্বকাপে। এছাড়া ১৯৯৬ ও ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ২ বার করে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন শেন ওয়ার্ন।
আইএইচএস/