কড়া নিরাপত্তায় খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে কথা বললেন নান্নু-মিঠুন
সময় যত গড়াচ্ছে বিশ্বকাপের বয়স যত বাড়ছে, আসর যতই পরিণতির দিকে যাচ্ছে। নানা দিকের নিরাপত্তা বেষ্টনিও যেন ততই বাড়ছে। এক কথায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জাল তৈরি করা হচ্ছে চারিদিকে। মাঠ, প্রেস বক্স আর টিম হোটেল- যেখানেই যাবেন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, নানারকম জিজ্ঞাসাবাদ ও কড়াকড়ি।
খেলার দিন স্টেডিয়ামের ভিতরে ঢুকে গেলে আর কোনও ছবি তোলা, সেলফি নেয়া, অটোগ্রাফ নেয়া, ভিডিও ধারণ করা কিংবা খেলার কোন অংশের লাইভ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সেটা অবশ্য আইসিসির এখতিয়ার। অনেক বড় বড় আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি। যে কারণে লাইভ করা, ফেসবুকে ছবি দেয়ার বিষয়ে তাই রীতিমত নিষেধাজ্ঞা।
কিন্তু খেলার আগে টিম হোটেলে ঢোকা যাবে না, এমনকি নিজ দেশের ক্রিকেটারদের সাথে হোটেল লবিতে দাড়িয়ে চা, কফি জুস বা হালকা স্ন্যাক্স খাওয়া বহু দূরে- হোটেল লবিতেই ঢোকার অনুমতি পর্যন্ত নেই। বাইরে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকার নজির বড় একটা নেই।
বাইরে থেকে গিয়ে টিমের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ আর টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলার কোনো সুযোগই নেই। এমনকি টিম হোটেলে অবস্থান করা বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও সে সুযোগ পাচ্ছেন না। সবচেয়ে বড় কথা, দলের প্রতিটি সদস্যকে তার রুমের চাবি গেটে নিরাপত্তা কর্মীদের দেখিয়ে মাঠে যেতে হচ্ছে। কদিন আগে ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনকেও নাকি আটকে দেয়া হয়েছিল। পরে রুমের চাবি দেখানোর পর ঢুকতে দেয়া হয়েছে।
আজ (শনিবার) সাউদাম্পটনের সি সাইডে টিম হোটেল গ্র্যান্ড হারবারেও কঠোর নিরাপত্তা। হোটেল লবিতে যাওয়া বা ভিতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি কারোই। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের থাকতে হলো হোটেল প্রবেশ পথ থেকে অন্তত ৩০-৪০ গজ দূরে রাস্তায়, ফুটপাতে কিংবা গাছের নিচে। তাও ভাগ্যসহায় যে সেখানে প্রচুর গাছপালা। যে কারণে উপস্থিত সাংবাদিকরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন।
তাও সামান্য কিছু সময়ের জন্য নয়। অন্তত এক থেকে দেড়ঘন্টা ঠায় দাঁড়ানো ছিলেন বিশ্বকাপ কভার করতে যাওয়া বাংলাদেশি সাংবাদিকরা। এর মধ্যে টিভি চ্যানেলের সহযোগী সাংবাদিকদের কেউ হোটেল বিল্ডিংয়ের কাছে গিয়ে লাইভ দিতে গেলে হোটেলের নিরাপত্তার নিয়োজিত কর্মীরা ছুটে আসলেন এবং তাদের লাইভ দেয়া থেকে বিরত রাখলেন।
শুধু বাংলাদেশি সাংবাদিকরাই নয়, টিম হোটেলে অপাংক্তেয় বহিরাগত ইংলিশ-ব্রিটিশরাও। মাশরাফি-সাকিবদের ছবিতে অটোগ্রাফ নিতে আসা তিন ইংলিশ পিটার, টনি ও ড্যানিয়েল ঘণ্টাদুয়েক অপেক্ষা করলেন হোটেলের বাইরে ফুটপাথে বসে।
এরই মধ্যে আজ স্বদেশি প্রচার মাধ্যমের সাথে সেই খোলা আকাশের নিচে হোটেলের প্রবেশ পথ থেকে বেশ দূরে দাঁড়িয়ে কথা বললেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। কথা বলেছেন আসন্ন ম্যাচ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সামনের পথ নিয়ে।
এআরবি/এসএএস