৩০ করার পরই ভয় কেটে যায় : লিটন
বিশ্বকাপের আগেই ফিরেছিলেন নিজের ছন্দে। তবে কম্বিনেশনের কারণে কিছুতেই একাদশে জায়গা পাচ্ছিলেন না লিটন দাস। বিশ্বকাপে আজ (সোমবার) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুযোগ পেলেন ঠিকই, তবে ওপেনার থেকে বনে গেলেন দলের পাঁচ নাম্বার ব্যাটসম্যান।
সুযোগ পেয়ে নিজের সামর্থ্যের জানান দিতে অবশ্য ভুল করেননি লিটন। ৪ ছয় আর ৮ চারে মাত্র ৬৯ বলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে জানান দিয়েছেন কেনো তাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণ ব্যাটসম্যান বলা হয়।
এতো দারুণ ইনিংস খেললেও শুরুতে যে তিনি নার্ভাস ছিলেন তা স্বীকার করেছেন নিজেই। তার এই নার্ভাসনেস কাটাতে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছেন উইকেটের অপরপ্রান্তে থাকা সাকিব আল হাসান।
ম্যাচের পর মিক্সড জোনে এসে লিটন বলেন, ‘আমি খুব নার্ভাস ছিলাম। কারণ জাতীয় দলের হয়ে অনেকদিন ধরে ম্যাচ খেলিনি। বিশ্বকাপে আমার প্রথম ম্যাচ, তার ওপর এত রানের চাপ। তবে সাকিব ভাই আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। তিনি বলেছেন, আমার স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে। তবু আমি অনেক নার্ভাস ছিলাম।’
শুরুর সেই নার্ভাসনেস কাটিয়ে ভালো করাটা ছিলো বেশ কঠিন ব্যাপারই। তবে সেই চাপ কাটিয়ে নিজের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার চেয়েও লিটনকে বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে ইনিংস শেষ করে আসতে পারা। শুরুর নার্ভাসনেস লিটনের সঙ্গী ছিলো তার ৩০ রান করা পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ‘আমার রান ৩০ হওয়ার পর নার্ভাসনেস কেটে গিয়েছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমার অনেক বড় ইনিংস আছে। কিন্তু সাধারণত দেখা যায়, আমি বড় ইনিংস খেলেছি, দল জিতেছে কিন্তু আমি শেষ করে আসতে পারিনি। তবে আজ ম্যাচ শেষ করে আসতে পেরেছি। এটা বেশ ভালো লাগছে।’
এআরবি/এমএইচবি/এসএএস