চার ম্যাচে একটিও ওয়াইড দেননি মাশরাফি
চলতি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স বিচার করে তাকে নিয়ে সমালোচকদের মন্তব্যের শেষ নেই। তিনি শুধু অধিনায়ক কোটায় দলে আছেন- এমন কথা শোনা যায় হরহামেশাই। মাশরাফি বিন মর্তুজার দলে থাকা নিয়ে প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন কেউ কেউ। দু-একটি ম্যাচ খারাপ করলেই তার দিকে ধেয়ে আসে সমালোচনার তীর। মাশরাফি অবশ্য এসবের কিছুইতে পাত্তা দেন না। জবাব দেন খেলার মাঠেই।
এবারের বিশ্বকাপেও তাকে নিয়ে সমালোচনা অনেক। প্রথম দুই ম্যাচে খারাপ বোলিং করায় তীর্যক সব মন্তব্যও ধেয়ে এসেছে মাশরাফির দিকে। তবে বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ দলে পেস বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ডিসিপ্লিন বোলিং করেছেন মাশরাফিই। বিশ্বকাপের চার ম্যাচে একটিও ওয়াইড দেননি তিনি। তবে মাত্র একটি নো বল দিয়েছিলেন, দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৬ ওভার বল করে ৮.১৬ গড়ে ৪৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও কোনো উইকেট পাননি মাশরাফি। ওই ম্যাচে ৫ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩২ রান। ওভার প্রতি রান দিয়েছিলেন ৬.৪০ গড়ে। তৃতীয় ম্যাচেই অবশ্য আবারো চেনা ছন্দে ফিরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ওই ম্যাচে দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৬.৮০ গড়ে রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট।
বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩২১ রান। তবে স্রোতের বিপরীতে ৮ ওভার বল করে মাশরাফি ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৪.৬২ গড়ে ৩৭টি। ১টি মেডেনও নিয়েছেন। যদিও কোনো উইকেট পাননি তিনি।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি ওয়াইড দিয়েছেন সাইফউদ্দীন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজই দিয়েছে ৬টি ওয়াইড। আরেক পেসার মোস্তাফিজ দিয়েছেন ১২টি ওয়াইড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দিয়েছেন ৫টি ওয়াইড।
এমএইচবি/আইএইচএস/এমএস