বিশ্বকাপেই ৩১৯ তাড়া করে ৩২২ করেছিল বাংলাদেশ
টনটনে বাংলাদেশ জিতবে এমন প্রত্যাশা নিয়েই গ্যালারিতে হাজির হাজার হাজার প্রবাসি বাংলাদেশি সমর্থক। কিন্তু তারা কি শেষ পর্যন্ত জয়ের সুখ-স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারবে নিজ নিজ ঘরে। কারণ, ক্যারিবীয়রা যে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সামনে ৩২২ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে!
জিততে হলে ব্যাটসম্যানদেরই এখন বিশাল দায়িত্ব পালন করতে হবে। ওপেনার থেকে শুরু করে দলের প্রতিটি পজিশনে প্রতিটি ব্যাটসম্যানেরই নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
ক্যারিবীয়রা ৩২১ রান করার পরই চারদিকে প্রশ্নের বান, এই বিশাল স্কোর তাড়া করে পারবে কি বাংলাদেশ? ভক্ত-সমর্থকরা আশাবাদী হতেই পারেন। কারণ, বাংলাদেশ নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতেছিল বিশ্বকাপেই।
খুব বেশিদুরে নয়, ২০১৫ বিশ্বকাপেই এই রেকর্ড গড়েছিল টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের নেলসনে স্কটল্যান্ডের করা ৩১৯ রান তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবালের অনবদ্য ৯৫ রানের ওপর ভর করে ৩২২ রান করে ৬ উইকেটের ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। তাও ১১ বল হাতে রেখেই।
নেলসনে টস জিতে স্কটল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। কিন্তু ওপেনার কাইল কোয়েৎজারের অনবদ্য ১৫৬ রানের ওপর ভর করে স্কটিশরা ৩১৮ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়ে দেয় বাংলাদেশের সামনে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকার আউট হয়ে যান, মাত্র ২ রান করে। এরপর যদিও বাকি ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবেই পালন করেছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৬২, মুশফিকুর রহীম ৬০, সাকিব আল হাসান অপরাজিত ৫২ এবং সাব্বির রহমান অপরাজিত ৪২ রান করে দলকে ৬ উইকেটে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এরপর সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড হচ্ছে ২২৫। ২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের করা ২২৫ রান তাড়া করে শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেবার শেষ মুহূর্তে শফিউল ইসলামের বীরত্বমাখা ব্যাটিংই গৌরবের জয় এনে দিয়েছিল বাংলাদেশকে।
বিশ্বকাপ ছাড়াও ৩০০ প্লাস রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে স্বাগতিকদের করা ৩১৩ রান তাড়া করে জিতেছিল টাইগাররা। ওই ম্যাচেই তামিম ইকবাল খেলেছিলেন ১৫৪ রানের অনবদ্য ইনিংস।
এছাড়া ২০১৩ সালে ফতুল্লায় নিউজিল্যান্ডের করা ৩০৭ রান তাড়া করতে নেমে ৩০৯ রান করে ৪ উইকেটের ব্যবধানে টিম বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ওই ম্যাচে শামসুর রহমান শুভ খেলেছিলেন ৯৬ রানের ইনিংস।
আইএইচএস/এমএস