বৃষ্টি হুমকি নেই টনটনে, নির্বিঘ্নেই হবে বাংলাদেশের ম্যাচ
কথায় বলে ঘর পোড়া গরু নাকি সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পায়। বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর সবার ভয়ের কারণ এখন একটাই- আর সেটা হলো বৃষ্টি। মাঠের লড়াই ছাপিয়ে তাই যত কথা ওই এক বৃষ্টি নিয়েই!
আজ (সোমবার) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে টনটনের সমারসেট কাউন্টি ক্লাবের ছোট আউটফিল্ড; প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল, শাই হোপ, হেটমায়ার; এছাড়াও ওশানে থমাস, কটরেল, গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচদের ভয়ঙ্কর ফাস্ট বোলিং ছাপিয়েও বাংলাদেশি সমর্থকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা খেলা হবে তো? ব্রিস্টলের মতো বৃষ্টি বাগড়া দেবে না তো?
দেশে কোটি টাইগার ভক্ত-সমর্থকদের এই কৌতূহলী প্রশ্নের উত্তরে আশার আলো জ্বালাচ্ছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস। জানা গেছে সুখবর। আজ ১৭ জুন সোমবার, সে অর্থে টনটনে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কম। সকাল ৭টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠা নামা করলেও শতকরা হিসেবে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশ কম- সর্বোচ্চ ২১ শতাংশ।
এদিকে বিবিসির আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানাচ্ছে, আকাশে খানিকটা মেঘ জমে থাকবে। হয়তো বাতাস বইবে ভালোই। কিন্তু সারাদিনে বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা ৬ থেকে ২১ শতাংশ।
সত্যি বলতে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বরাবরই মিলে যায়। বিশ্বকাপ শুরুর পর বারবার তার দেখাই মিলেছে। ব্রিস্টলে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ বৃষ্টিতে নাও হতে পারে- সেই পূর্বাভাস মিলেছিল অনেক আগেই। সেটা সত্যিও হয়েছে। আজ তাই টনটনের আবহাওয়ার প্রতিবেদন সত্যি হলেই হয়।
টনটনে স্থানীয় সময় ভোর ৪.৫৭ মিনিটে সূর্য উঠেছে। এরপর সকাল সাড়ে ৬টায় এ প্রতিবেদন তৈরির সময়, আকাশের অবস্থা বেশ ভালো। যদিও চিরাচরিত সেই মেঘ আর রোদের খেলা চলছে। কখনো মেঘ ভেদ করে সূর্যের দেখা মিলছে তো আবার কোনো সময় মেঘ এসে সূর্যকে ঢেকে দিচ্ছে।
তবে বৃষ্টি নেই আপাতত সেটাই স্বস্তি। আশা করা যাচ্ছে আজকের দিনটি এমন বৃষ্টি ছাড়াই কেটে যাবে। সুতরাং, ভক্ত-সমর্থকরা আশা করতেই পারে, নির্বিঘ্নেই হতে চলেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।
এর আগে, গতকাল রোদেলা সকালের দেখা মেলে টনটনে। প্রায় ১০/১২ দিন লন্ডন, কার্ডিফ, ব্রিস্টল আর টনটনে সেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘন কালো মেঘে ঢাকা আকাশ, টিপটিপ বৃষ্টি আর কনকনে বাতাস-এবার যুক্তরাজ্যে টাইগারদের নিত্যকার সঙ্গী হয়ে ছিল। কিন্তু গতকাল ভোর থেকেই আকাশের গোমড়া কালো মুখ দেখতে হয়নি।
এআরবি/এসএস/এমকেএইচ