ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে চার পেসার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ?
টনটনের সমারসেট কাউন্টি ক্লাবের ছোট আকৃতির মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার্ড হিটারদের বিপক্ষে বাড়তি স্পিনার খেলানোয় আছে ঝুঁকি। স্পিনারদের একটু তুলে মারলেই হয়ত বল গিয়ে ছিটকে পড়বে সীমানার ওপারে।
শুধু স্কয়ারে নয়, মাঠের সামনে মানে লং অফ আর লং অন দিয়েও এ মাঠের আকৃতি ছোট। কাজেই স্পিনারদের সামনের পায়ে গিয়ে তুলে মারলেই চার ও ছক্কা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এমন চিন্তা অনেকের মাথায়ই ঘুরপাক খাচ্ছে।
একই মাঠে অস্ট্রেলিয়া আর পাকিস্তান ম্যাচে ছিল স্পিনারের আকাল। এখন বাংলাদেশ কী করবে? মেহেদী হাসান মিরাজকে বাইরে নিয়ে পেসার রুবেলকে খেলানো হবে? তা নিয়ে পেস বোলিং কোচ ওয়ালশ কী ভাবছেন? তার চিন্তা কী?
আজ (শুক্রবার) সে প্রশ্ন করা হলে এ ক্যারিবীয় গ্রেট বলেন, ‘রুবেল খেলবে কি খেলবে না, এটা নির্বাচকদের ব্যাপার। এটা সত্য রুবেল গত বছর দারুণ এক মৌসুম কাটিয়েছে। সে এবছরও ভাল বল করছে। কিন্তু বুঝতে হবে টিম কম্বিনেশন ও ফর্মেশনের কারণেই তার দলে জায়গা হচ্ছে না। আমার মনে হয় সে সামনেই সুযোগ পাবে। আমাদের আরও বেশ ক’টি খেলা আছে। নির্বাচকরা যখন মনে করবেন, তখনই সে সুযোগ পাবে।আমার ধারণা রুবেলও তৈরি আছে।’
ওয়ালশ আরও জানান, ‘রুবেল নেটেও ভাল বল করছে এবং তার এই ভাল বল করাটা বাংলাদেশ দলের জন্যই মঙ্গলজনক। তার মানে পেস ডিপার্টমেন্টের রিজার্ভ বেঞ্চটাও বেশ ভাল আছে। আমার মনে হয় যখনই সে সুযোগ পাবে, তখনই সে তা কাজে লাগাবে।’
শুধু রুবেল নয় আজ পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ তার আরেক পেসার মোস্তাফিজকে নিয়েও কথা বলেছেন। কেন মোস্তাফিজকে নতুন বলে বল করানো হচ্ছে না?
এ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ পেস বোলিং কোচ বলেন, ‘এটা আসলে পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং প্রতিপক্ষের ওপর নির্ভর করে। আমরা মাঝে তাকে একবার ব্যবহার করেছিলাম। আমরা জানি মোস্তাফিজ যদি স্বাভাবিক ছন্দে বল করতে পারে, তাহলে সে শুরুর দিকে উইকেট পেয়ে যায়। আসলে মোস্তাফিজকে উদ্বোধনী বোলার হিসেবে ব্যবহার করা না করা নির্ভর করছে উইকেটের ওপর। কাজেই আমরা তাকে নতুন বলে বল দেব না- এমন কোন চিন্তা নেই। পরিবেশ হলেই সে নতুন বলে বল করবে।’
মোস্তাফিজের কাছ থেকে নতুন বলে বল করলে একটু বাড়তি বাউন্স আশা করছেন ওয়ালশ। একদম ক্রিকেটীয় যুক্তিতে তাই বলে ওঠেন, ‘একজন বাঁহাতি পেসার হিসেবে মোস্তাফিজ যদি একটু বাড়তি বাউন্স পায়, সেটা অনেক বেশি কার্যকর।’
এই মাঠে চার পেসার নিয়ে মাঠে নামার সম্ভাবনা কতটুকু? ওয়ালশের জবাব, ‘আমরা দেখেছি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাউদাম্পটনে চার ফাস্ট বোলার নিয়ে খেলতে নেমেছে। কিন্তু আমরা জানি না টনটনে কী হবে? আমি এখনও উইকেট দেখিনি। দেখার আসলে প্রশ্নও আসে না। উইকেট বৃষ্টির কারণে হুপার কভারে ঢাকা।’
ওয়ালশ টনটনে চার পেসার খেলানো সম্পর্কে বলতে গিয়ে মাঠের আকৃতিকে কোনরকম প্রাধান্য দেননি। মাঠ ছোট, স্পিনার খেলানোয় আছে রাজ্যের ঝুকি। এমন কথা বলেননি একবারের জন্য। বরং এ কালজয়ী ফাস্ট বোলারের কথা, ‘আসলে সবার আগে উইকেট দেখতে হবে। উইকেটের চরিত্র ও প্রকৃতি জানতে হবে। যদি উইকেট ফাস্ট বোলিং ফ্রেন্ডলি হয়, তাহলে চার পেসার ফর্মুলা অনুসরণের প্রশ্ন, অন্যথায় নয়। চার পেসার খেললে অনির্বাযভাবেই রুবেল দলে ঢুকে যাবে।’
এআরবি/এসএএস