বিশ্বকাপে সুযোগ পেতে ডু প্লেসিসকে ফোন করেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ঘিরে চলমান বিতর্ক যেন থামছেই না। একের পর জানা যাচ্ছে নতুন তথ্য, বের হচ্ছে অদ্ভুত সব খবর। যার সবগুলোই দিচ্ছেন প্রোটিয়া ক্রিকেট দলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
যার সবশেষ সংযোজন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। তিনি জানিয়েছেন বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেতে আইপিএলের মাঝেই ডি ভিলিয়ার্স তাকে ফোন করেছিলেন। তবে ততদিনে দেরি হয়ে যাওয়ায় করার কিছুই ছিলো না প্রোটিয়া অধিনায়কের।
গতকাল (সোমবার) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরিত্যক্ত ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে ডু প্লেসিস বলেন, ‘তখন আইপিএল চলছিল। আমি চেন্নাইয়ের (চেন্নাই সুপার কিংস) হয়ে এবং ডি ভিলিয়ার্স ব্যাঙ্গালুরুর (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু) হয়ে খেলছিল। আমাদের মধ্যে ছোট্ট একটা কথোপকথন হয়েছিল। মূলত সেটা ছিলো একটা ফোন কল।’
কী কথা হয়েছিল সে ফোন কলে? ডু প্লেসিস বলতে থাকেন, ‘ফোনটা এসেছিল আমাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার ঠিক আগের রাতে। সে আমাকে সরাসরি বলেনি। তবে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে বিশ্বকাপে খেলতে ইচ্ছুক সে। আমি তখন তাকে বললাম যে এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। তবে আমি কোচ এবং নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলে দেখবো। যদিও ততক্ষণ স্কোয়াড চূড়ান্ত হয়ে গেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরদিন যথাসময়েই বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়। আমি স্কোয়াড ঘোষণার আগে কোচ এবং নির্বাচকদের সঙ্গে ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাপারে কথা বললাম। তারা সবাই একটাই কথা বললো যে ততদিনে অনেক, অনেক বেশি দেরি হয়ে গেছে। তাই তখন আর সুযোগ ছিলো না।’
এদিকে বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত প্রত্যাশামাফিক খেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ৪ ম্যাচ শেষে বৃষ্টির কল্যাণে ১টি মাত্র পয়েন্ট পেয়েছে তারা। হেরে গিয়েছে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে। তাই অনেকেই মনে করছেন ডি ভিলিয়ার্স ফিরলে হয়তো ভালো করতে পারতো তারা।
কিন্তু এমনটা ভাবতে নারাজ প্রোটিয়া অধিনায়ক। তার মতে ডি ভিলিয়ার্স না থাকা শাপে বরই হয়েছে দলের জন্য। যে কারণে পুরো দল ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছে। ডু প্লেসিস মনে করছেন এখনো তার দল যথেষ্ট শক্তিশালী। শুধু নির্দিষ্ট দিনে যথাযথ পারফর্ম করতে না পারায় মেলেনি জয়।
তিনি বলেন, ‘ডি ভিলিয়ার্স না থাকাটা দুইভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। আমি হয়তো বলতে পারেনি এ ঘটনা দল হিসেবে আমার এক করেনি, আবার এও বলা যায় যে এটিই আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে। আমাদের কাছে খবরটা যখন আসে তখন কারো মধ্যেই খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। এ ঘটনার ব্যাপারে দলগতভাবে একটা আলোচনা হয় এবং এটা নিশ্চিত করা হয়েছে সবাই যেন পুরো ঘটনার ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা রাখে। যা আমাদের জন্য ভালোই হয়েছে।’
এসএএস/এমকেএইচ