ওরাও মানুষ, বাবা হিসেবে তাদের কষ্টটা বুঝি : ল্যাঙ্গার
বল টেম্পারিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ হওয়ার ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকা খেলোয়াড় ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। বিশ্বকাপে তারা দলে আছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন করে যাত্রাও শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট দিয়েই। তবে এই শুরু যে মোটেই সহজ হবে না, তা ইতিমধ্যেই জানান দিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডের সমর্থক গোষ্ঠি বার্মি আর্মি।
ক্রিকেটে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈরথটা বেশ পুরোনো। সুযোগ পেলেই একে অন্যকে খোঁচা দিতে ছাড়ে না। কিছুদিন আগেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড ভক্তদের কাছ থেকে অপমানজনক কথা শুনেছেন স্মিথ-ওয়ার্নাররা। এটা যে হবে জানেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও। তারপরও তিনি এবার প্রতিপক্ষ সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানালেন মাঠে যেন প্রাপ্য সম্মানটা দেয়া হয় ক্রিকেটারদের।
ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আপনারা সবসময় সম্মান পাওয়ার কথা বলবেন, তবে আমি মনে করি সম্মান দেয়াটা তার থেকেও বেশি জরুরি। ওয়ার্নার-স্মিথ দুজনেই খুব ভালো ক্রিকেটার। তারা ভুল করেছে এবং এর জন্য বড় মাশুলও দিয়েছে। মানুষ হিসেবে আমি তাদের ব্যথাটা অনুভব করতে পারি।’
প্রস্তুতি ম্যাচে যা করেছেন ইংল্যান্ড দর্শকরা, তাতে ভবিষ্যতে কি হতে যাচ্ছে তা সম্পর্কে আগেই ধারণা নিয়ে নিয়েছেন ল্যাঙ্গার। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের পর আমাদের ধারণা হয়ে গেছে যে পরের ম্যাচগুলাতে কি ঘটতে চলেছে। আমি আগেও বলেছি আপনি এই বিষয় নিয়ে যত খুশি তত কথা বলতে পারেন। আপনি এই নিয়ে রণকৌশলও বানাতে পারেন, যাতে করে তারা আপনাদের কথায় কান দিবে। কিন্তু কোন মানুষই এই ব্যাপারটা পছন্দ করবে না। এটাই সত্য। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে তারা এসব বাদ দিয়ে মাঠে গিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকমতোই করবে।’
কোচ হয়েও খেলোয়াড়দের সঙ্গে ল্যাঙ্গারের সম্পর্কটা বাবা-ছেলের মতো। তাই খেলোয়াড়দের মনোভাবটা তিনি মন থেকেই বুঝতে পারেন। ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আমরা এই বিষয় নিয়ে অনেক কথা বলেছি। তারা (প্রতিপক্ষ সমর্থকরা) যখন এটা করে কোনভাবেই সহজ ভাবে নেয়া যায় না। সত্য বলতে ওরাও মানুষ। তাদের জায়গায় ভাবতে গেলে ব্যাপারটা খুবই কষ্টদায়ক। আমিও একজন বাবা। বেশিরভাগ সময়ই খেলোয়াড়রা মনে করে তারা আমার সন্তান। আপনি যদি এসব ঘটতে দেখেন তাহলে তাদের মনোভাব বুঝতে পারবেন।’
এএইচএস/এমএমআর/এমকেএইচ