বিশ্বকাপ শুরুর আগে জুয়াড়িদের আইসিসির হুঁশিয়ারি
ক্রিকেটের শুরু থেকে এর সাথে একটা বিশেষণ যুক্ত রয়েছে- তা হলো ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। এই প্রচলনের সত্যতা যেমন রয়েছে তেমনি আছে এর বিপরীত দৃশ্যও। ক্রিকেটীয় শৃঙ্খলার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এমন অনেক কাজই মাঠ ও মাঠের বাইরে করতে দেখা যায় ক্রিকেটার ও সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে ক্রিকেটের সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়ের একটি ম্যাচ ফিক্সিং। গত এক যুগে এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে জেলও খেটেছেন কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার, ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক ক্রিকেটারের। তবে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপকে ঘিরে ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ক্রিকেটের সর্ব্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
জুয়ারিদের অবাধ বিচরণ ঠেকাতে এ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দশ দেশের সঙ্গে থাকবে আইসিসির এন্টি করাপশন ইউনিটের (আকসুর) প্রতিনিধি। যারা নজর রাখবেন স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজম্যান্টের সদস্যদের উপর।
এ ব্যাপারে আকসুর মহাব্যবস্থাপক আ্যলেক্স মার্শেল বলেন, ‘আমি প্রতিটি স্কোয়াডের সঙ্গে আমাদের একজন কর্মকর্তা পাঠিয়েছি। যারা পুরো পৃথিবীব্যাপী কাজ করে। তারা যেকোনোভাবে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। স্কোয়াডের সঙ্গে তারা সফরে যাবে। তারা দলের খেলোয়াড়, স্টাফ সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রাখবে। যাতে যেকোনো সমস্যায় তারা (ক্রিকেটাররা) এসে বলতে পারে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘যে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আছে সে গত কয়েকমাস ধরেই তাদের সঙ্গে কাজ করছে। সে প্রতিটি ক্রিকেটারের সম্পর্কে ভালোভাবে জানে। যে আফগানিস্তানের সঙ্গে আছে সে আফগানিস্তানের খেলোয়াড় ও স্টাফদের সম্পর্কে জানে। আমরা তাদের (আকসুর কর্মকর্তাদের) সাথে ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এবারের বিশ্বকাপে ফিক্সিং ঢুকতে পারবে না বলেও বিশ্বাস করেন আকসুর মহাব্যবস্থাপন। ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে আকসুকে সহায়তা করবে স্থানীয় পুলিশও। তাই কেউ যদি চেষ্টাও করে, তবুও ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়াতে পারবে না বলে মনে করেন আইসিসি কর্মকর্তা। এ প্রসঙ্গে জুয়াড়িদের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন তিনি।
মার্শাল বলেন, ‘এই বিশ্বকাপ সবরকমের দুর্নীতি থেকেই মুক্ত। স্থানীয় পুলিশ ও ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির সঙ্গে মিলে একসঙ্গে কাজ করছে আকসু। আপনি কখনও কোনো আসরকে এই ব্যাপারটা (ফিক্সিং) থেকে মুক্ত বলতে পারবেন না। কিন্তু যখন এর সঙ্গে জড়িতরা জানবে আমরা এ ব্যাপারে কতটা সতর্ক, প্রতিটি দলের সঙ্গে আমাদের একজন কর্মকর্তা আছে, যারা শুধু মাঠই নয়, মাঠের বাইরেও দলের সঙ্গে থাকবে তখন নিশ্চয়ই ওরা এটা থেকে দূরে থাকবে।’
এমএইচবি/এসএএস/এমএস