বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের স্ত্রী-সন্তানরা!
এবারের বিশ্বকাপটি বিগত বেশ কয়েক আসরের অনেক বেশি দীর্ঘ। ১৯৯২ বিশ্বকাপের ফরম্যাটের আদলে অংশগ্রহণকারী দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে খেলবে বিধায় প্রায় দেড় মাসের মতো সময় থাকতে হবে ইংল্যান্ডেই।
এত লম্বা সফরে মানসিকভাবে শক্ত থাকার লক্ষ্যে প্রায় সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডই তাদের খেলোয়াড়দের অনুমতি দিয়েছে স্ত্রী-সন্তান তথা পরিবারের সদস্যের সঙ্গে নিয়ে থাকার। যাতে করে দীর্ঘ এ সফরে দেশের প্রতি, বাড়ির প্রতি আলাদা দুর্বলতা তৈরি হয়ে খেলায় এর ছাপ না পড়ে।
কিন্তু উল্টো পথে হাঁটল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপের পুরোটা সময়ে স্কোয়াডের কোনো সদস্য তাদের স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে রাখতে পারবে না। পিসিবির নতুন পলিসিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে খেলোয়াড়দের স্ত্রী-সন্তানদের উপস্থিতি।
তবে এক্ষেত্রে হালকা ছাড় দিয়েছে পিসিবি। কোনো খেলোয়াড় যদি তার পরিবারের সদস্যদের ইংল্যান্ডে রাখতে চায়, সেক্ষেত্রে সব ব্যবস্থা করতে হবে সেই নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কেই। এমনকি দলের সঙ্গে যাতায়াত কিংবা এক হোটেলে থাকার ব্যবস্থাও করবে না পিসিবি। সবই ঠিক করতে হবে নির্দিষ্ট খেলোয়াড়দের।
ধারণা করা হচ্ছে, পুরো বিশ্বকাপজুড়ে খেলোয়াড়দের মনোযোগ শুধুমাত্র ক্রিকেটের ওপর রাখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। পরিবারের উপস্থিতি খেলোয়াড়দের স্বাভাবিক রুটিনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে ধারণা পিসিবির। তাই সব শেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে খেলোয়াড়দের পরিবার সদস্যরা সঙ্গে থাকলেও, বিশ্বকাপে থাকছে না সে সুযোগ।
গতানুগতিক ধারার বাইরে পিসিবির এমন সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে নানান আলোচনার। আগে যেকোনো বিদেশ সফরে খেলোয়াড়দের স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে রাখার অনুমতি দিতে কার্পন্য করেনি পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। এমনকি তারা দলের সঙ্গে একই হোটেলে থাকা কিংবা যাতায়াতও করতেন। অথচ বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরে মিলছে না সেই সুযোগ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের মিশন শুরু হবে দ্বিতীয় দিন, ৩১ মে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে তার আগে ২৪ মে (শুক্রবার) আফগানিস্তান ও ২৬ মে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সরফরাজ আহমেদের দল।
এসএএস/এমএস