সুযোগ পেলে কোহলিকে দলে নিতেন মাশরাফি
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তার ব্যাট যেনো রানের ঝর্ণা, যা থেকে অঝোর ধারায় বেরোয় দারুণ সব ইনিংস। তাই সুযোগ থাকলে তাকে বাংলাদেশ দলে নিয়ে নিতেন বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর অধিনায়কদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে আইসিসি। যেখানে প্রথাগত প্রশ্নোত্তর পর্বের চেয়ে অধিনায়কদের মধ্যে আড্ডামুখর পরিবেশ বানানোই ছিলো মূল লক্ষ্য, যাতে সফল হয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
সে অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সব দলের অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করা হয়, যদি সুযোগ দেয়া হয়, তাহলে অন্য দলের কোন খেলোয়াড়কে নিজের দলে চান?- এমন প্রশ্নের জবাবে বেশিরভাগ অধিনায়কই উত্তর দেন ঘুরিয়ে-পেচিয়ে। তবে মাশরাফি রাখঢাক না রেখেই জানান কোহলির কথা।
ইংলিশ অধিনায়ককে প্রথম করা হয় প্রশ্নটি। তিনি উত্তর দেয়ার আগেই অন্যান্য অধিনায়করা বলতে থাকেন এমন প্রশ্ন করা ঠিক নয়। তবে তা ধোপে টেকেনি। মরগ্যান জানান, সে তার দল নিয়ে খুশি আছেন। কোনো পরিবর্তন চান না।
ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনিও পাশ কাটিয়ে যেতে চান মরগ্যানের মতো। তবে জোর দিয়ে বলা হলে তিনি উত্তর দেন, অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি রিকি পন্টিংকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে পেতে চাইবেন তিনি। যিনি বর্তমানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং কোচ হিসেবে। তবে খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসকে দলে চাওয়ার কথা জানান কোহলি। কারণ তারা ভালো বন্ধু।
এরপর প্রশ্নটি চলে আসে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির কাছে। তিনি কোনো রাখঢাক না রেখে পাশেই বসা কোহলির দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলেন, ‘ওকে (বিরাট কোহলি) চাই, আমি ওকে দলে নিতাম।’ তবে মাশরাফি একই সঙ্গে বলেন, ‘আমার দলের পক্ষ থেকে নতুন কিছু নয়, সবকিছু নির্ভর করছে মানসিক প্রস্তুতির ওপর। টুর্নামেন্টটা বেশ কঠিন, আমাদের দল হিসেবে এগুতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২৪ মে থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ। বাংলাদেশের ম্যাচ দুটি হলো ২৬ ও ২৮ মে, দুটোই হবে কার্ডিফে। সেখানে ২৬ মে ভারত ও ২৮ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি খেলবে টাইগাররা। পরে ২৯ মে কার্ডিফ থেকে লন্ডনে ফিরবে পুরো দল। আগামী ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওভালে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন।
এসএএস/পিআর