‘যে কোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি আমরা’
বাংলাদেশ দলে একজন জেনুইন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব দীর্ঘদিন ধরেই। বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে দিয়ে এ শূন্যস্থান পূরণের চেষ্টা করা হলেও, ফল আসেনি কখনোই। অবশেষে ফেনীর ২২ বছর বয়সি তরুণ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের প্রতি আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
নতুন বলে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গী হওয়া এবং ব্যাটিংয়ে নিচের দিকে মাহমুদউল্লাহ-সাব্বিরদের সঙ্গে ঝড়ো কোনো ক্যামিও ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহটা বড় করার দায়িত্বই থাকবে ডানহাতি পেসার ও বাঁ-হাতি এ ব্যাটসম্যানের কাঁধে। যা সম্পর্কে অবগত রয়েছেন তিনি নিজেও।
তাই তো বিশ্বকাপের দলের আস্থার প্রতিদান তিনি দিতে চান, ‘আসলে শুধু সুযোগ পেলে তো হবে না, সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। টিম ম্যানেজমেন্ট আমার উপর আস্থা রেখেছে। আমিও চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার। আস্থার প্রতিদান দেয়ার।’
সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে কিংবা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের নজির দেখিয়েছেন সাইফউদ্দিন। সঙ্গে রয়েছে তার কার্যকরী ব্যাটিং। তবু বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে উন্নতির বিকল্প নেই বলেই মানছেন সাইফ।
‘প্রতিনিয়ত নিজের উন্নতি করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। চেষ্টা করছি নিজের জায়গা থেকে যতটা পারি। নিজের স্কিল আরও ধারালো করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা করি। সিনিয়রদের সঙ্গে পরিকল্পনা শেয়ার করি। আলহামদুলিল্লাহ, যেহেতু ডিপিএলটা (ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ) ভালো গেছে, যদি সুযোগ পাই বিশ্বকাপে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাব। এটাই আসল লক্ষ্য থাকবে।’
প্রথমবারের মতো যাচ্ছেন ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে খেলতে। অন্য সবার মতো রোমাঞ্চ ছুঁয়ে গেছে তাকেও। তবু যতোটা সম্ভব বাস্তববাদী থাকার চেষ্টা করেছেন সাইফ। বিশ্বকাপে নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্য থাকলেও জানাতে রাজি হননি সেটি, দলের চাহিদাকেই সবার আগে গুরুত্ব দেয়ার প্রত্যয় তার কণ্ঠে।
‘যেহেতু আমি লোয়ারঅর্ডারে ব্যাটিং করব, অবশ্যই আমার জন্য ভালো সুযোগ আসবে ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্স করার। ব্যক্তিগত লক্ষ্য অবশ্যই আছে। তবে তা বলতে চাই না। দিন শেষে মিলিয়ে দেখব নিজের লক্ষ্য পূরণে কতটা সফল হয়েছি। ক্রিকেট যেহেতু দলীয় খেলা, অবশ্যই দলের জন্য খেলার চেষ্টা করব। দলকে জেতাতে যতটুকু অবদান রাখা দরকার, সবটাই দেয়ার চেষ্টা করব।’
যদি সামগ্রিকভাবে চিন্তা করেন, আমাদের দল হয়তো ইংল্যান্ড আর ভারতের মতো নয়। তবে আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছেন। আমাদের পাঁচজন খেলোয়াড়ের প্রায় ২০০টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এদিক থেকে আমি মনে করি, আমাদের দল অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে। পাশাপাশি আমরা যারা তরুণ আছি, সৌম্য ভাই গত বিশ্বকাপে খেলেছে। সবমিলিয়ে আমাদের দল ভারসাম্যপূর্ণ। যদি সবাই সবার জায়গা থেকে ভালো খেলতে পারে, যে কোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি আমরা।’
এসএএস/আইএইচএস/এমকেএইচ