মাশরাফির বাংলাদেশকে আর হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই : কুম্বলে
একটা সময় বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপ খেলাই ছিল স্বপ্নের মতো। সে স্বপ্নপূরণ হওয়ার পরও বাংলাদেশকে সহ্য করতে হয়েছে নানা অপমান। তীর্থের কাকের মতো একটা জয়ের জন্য তাকিয়ে থাকতেন বাংলাদেশি সমর্থকরা। সে সময় বদলেছে। টাইগাররা নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে শিরোপা জয়ের আশায়।
নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ যেখানে খেলেছিল বাংলাদেশ, সেই ইংল্যান্ডে এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমিয়েছে বাংলাদেশ। তা যে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার মতো স্বপ্ন নয়, তা সাম্প্রতিক সময়ে প্রমাণও করেছে নিজেরা। গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার পর ২০১৭ সালে খেলেছে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে পেয়েছে নিজেদের প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদও। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত খেলা ২৭ ওয়ানডের ১৭টিতেই জিতেছে দল। যেখানে ম্যাচ জয়ের হিসেবে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে কেবল দুই দল। ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নাম্বারে থাকা ইংল্যান্ড ও ভারত।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতবে কিনা, সেই জবাব সময়ের হাতে। তবে এখন যে আর বাংলাদেশকে ক্রিকেটবোদ্ধারা ছোট করে দেখছেন না সেই প্রমাণ পাওয়া যায় ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের কথায়। মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন তিনি। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল জয় বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলে মনে করেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে আর হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। কয়েক বছর ধরে তারা ধারাবাহিকভাবে খুবই ভালো করছে। মাশরাফি খুব ভালো একজন নেতা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারুণ খেলছে। তিনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আলাদাভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাদের একটা বড় সমস্যা, নকআউট ম্যাচগুলোতে তারা ভেঙে পড়ে। এটাই তাদের বড় চ্যালেঞ্জ হবে।’
বিশ্বকাপ খেলতে ইতিমধ্যে ইংল্যান্ড পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। ৩০ মে পর্দা উঠছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মহারণের। বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২ জুন। তার আগে ২৬ ও ২৮ মে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা।
এমএইচবি/এমএমআর/পিআর