আফ্রিদির মতো হতে চেয়েছিলেন রশিদ খান
লেগস্পিন বোলিংকে পুনর্জন্ম দেয়ায় তার অবদান অনেক, পাশাপাশি দলের পক্ষে ব্যাট হাতেও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাই তো বেশ কিছুদিন ধরে আইসিসির ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানে রয়েছেন আফগানিস্তানের তরুণ লেগস্পিনার রশিদ খান।
বল হাতে কবজির মোচড়ে ব্যাটসম্যানদের বোকা বানানো এবং ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলারদের উড়িয়ে সীমানার বাইরে পাঠানোর অনুপ্রেরণাটা রশিদ পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদির কাছ থেকে। ছোটবেলায় তিনি হতে চেয়েছিলেন আফ্রিদির মতোই একজন।
তাই আফ্রিদির দেখাদেখি নামতে ইনিংসের শুরুতে, মারকাট ব্যাটিং করে মাতিয়ে রাখতেন মাঠ; পরে বল হাতে দেখাতেন কবজির ভেলকি। জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রশিদ জানিয়েছেন আফ্রিদির প্রতি তার মুগ্ধতার কথা।
যেখানে রশিদ বলেন, ‘আফ্রিদি এমন একজন খেলোয়াড়, সারা বিশ্বজুড়ে যার ভক্ত রয়েছে। আপনি প্রতিনিয়ত এমন খেলোয়াড়ের দেখা পাবেন না। তার রেকর্ড দেখলতে হয়তো খুব বেশি সেঞ্চুরি খুঁজে পাবেন না। তবে যখনই সে ব্যাট করতে নামে, নিশ্চিতভাবে চার-পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে দর্শকদের আনন্দ দেয় এবং চলে যায়। এ কারণেই তার এত ভক্ত। আপনি তার ভক্ত হতে বাধ্য।’
আফ্রিদির প্রতি রশিদের ভালোবাসাটা অবশ্য একপাক্ষিক নয়। পাকিস্তানি সাবেক অলরাউন্ডার নিজেও বারবার জানিয়েছেন আফগান ক্রিকেটের প্রতি তার ভালোবাসার কথা। যেখানে আফ্রিদি বলে, ‘আফগানিস্তানের ওরা খুব প্রতিভাবান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে হলে আপনাকে সাহসী হতে হবে, যেটা আফগানদের রয়েছে পুরোপুরি। এদের মধ্যে রশিদ তাদের দলের মেরুদণ্ড।’
২০১৬-১৭ মৌসুমের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলতে এসে প্রথম রশিদের সঙ্গে দেখা হয় আফ্রিদির। সেদিনের কথা এখনো মনে রেখেছেন দুজনই। তাই এখনো আফ্রিদি ও রশিদের মধ্যে রয়েছে সুসম্পর্ক। প্রায়শই নিজেদের মধ্যে ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকেন তারা।
এসএএস/এমকেএইচ