বারমুডাকে পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ
ভারতের মত শক্তিধর দেশকে হারিয়ে শুভ সূচনা। এরপর যদি সুপার এইটেই খেলতে না পারে বাংলাদেশ, তাহলে তো অপূর্ণতা থেকে যাবে। তবে সুপার এইটে ওঠার জন্য আরও একটি জয় খুবই প্রয়োজন ছিল টাইগারদের। বারমুডার মত দলকে সামনে পেয়ে অনায়াসেই সেই জয়টা তুলে নিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করলো হাবিবুল বাশার সুমনের দল।
২০০৭ সালের ২৫ মার্চ পোর্ট অব স্পেনেই আইসিসির সহযোগি দেশ বারমুডার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশের বোলারদের সামনে উড়ে যাওয়ার পর নিজেরা বোলিংয়ে এসে শুরুতে টাইগারদের কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন বারমুডার বোলাররা। শেষ পর্যন্ত আশরাফুলের ব্যাটে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এই জয়ের পরই বাংলাদেশ উঠে গেল সুপার এইটে।
পোর্ট অব স্পেনে বৃষ্টির কারণে বারমুডার বিপক্ষে ম্যাচটির দৈর্ঘ্য ছোট করে আনা হয়। নামিয়ে আনা হয় ২১ ওভারের ম্যাচে। টস জিতে বারমুডাকেই ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। ব্যাটিংয়ে নেমে মাশরাফি-রাজ্জাকদের মাপা বোলিংয়ের সামনে নির্ধারিত ২১ ওভারে বারমুডা তুলতে পারে ৯ উইকেটে মাত্র ৯৪ রান।
২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন আবদুর রাজ্জাক। মাশরাফি এবং সাকিব ২টি করে উইকেট পান যথাক্রমে ৮ ও ১২ রানের বিনিময়ে।
যদিও জয়ের জন্য ২১ ওভারে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯৬ রান। জবাব দিতে নেমে ৩৭ রানে ৩ উইকেট ফেলে দিয়ে হাবিবুল বাশারের দলকে কিছুটা হলেও চিন্তায় ফেলেছিল বারমুডা। কিন্তু আশরাফুল-সাকিব মিলে সেই চিন্তা দুর করে দিলেন। আশরাফুল ৩২ বলে ২৯ এবং সাকিব ৩৫ বলে অপরাজিত ছিলেন ২৬ রানে। ২৯ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার তুলে নেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
বারমুডা: ৯৪/৯, ২১ ওভার (মিনোরস ২৩, পিচার ২২, ক্যান ১৬; রাজ্জাক ২০/৩, মাশরাফি ৮/২, সাকিব ১২/২, রাসেল ১৪/১, রফিক ১৮/১)।
বাংলাদেশ: ৯৬/৩, ১৭.৩ ওভার (আশরাফুল ২৯*, সাকিব ২৬*, শাহরিয়ার ১২, আফতাব ৭, তামিম ১; মকুদদেম ১৯/৩)।
ফল : বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মোহাম্মদ আশরাফুল।
আইএইচএস/এমএস